Site icon Jamuna Television

ছবিতে এক নজরে পিকাসোর আলোচিত চিত্রকর্ম

পাবলো পিকাসো। ছবি: সংগৃহীত।

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো। তিনি ছিলেন দক্ষ চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। পাবলো রুইজ পিকাসোর জন্ম ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর দক্ষিণ স্পেনের মালাগা শহরে। মা মারিয়া পিকাসো লোপেজ ও বাবা হোসে রুইজ ব্লাসকো। পিকাসোর বাবা ছিলেন চিত্রাঙ্কনের শিক্ষক এবং স্থানীয় জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক। বাবা হোসে রুইজ নিজের স্টুডিওতে ছবি আঁকার সব কলাকৌশল শেখাতেন ছেলেকে। মাত্র সাত বছর বয়সে পিকাসো বাবার কাছ থেকে তেলচিত্রে হাতেখড়ি নেন।

পিকাসো বার্সেলোনায় কাজ করার সময় ১৯০৩ থেকে ১৯০৪ সালের দিকে ‘দি ওল্ড গিটারিস্ট’ তৈরি করেছিলেন। চিত্রটি বাইশ বছর বয়সী পিকাসোর ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং দরিদ্রদের দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রতিফলিত করে।

পিকাসো ‘গার্ল বিফোর আ মিরর’ ১৯৩২ সালে তৈরি করেছিলেন। পেইন্টিংটিতে একজন নারী আয়নার সামনে তার প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে আছে।

পিকাসোর ‘ট্র্যাজেডি’ ১৯০৩ সালের পেইন্টিং, যা একটি সমুদ্র সৈকতে একসঙ্গে জড়ো হওয়া তিনটি ব্যক্তিত্বকে চিত্রিত করে।

পিকাসো তার বন্ধু ফরাসি কবি ম্যাক্স জ্যাকবকে লেখা একটি চিঠিতে চিত্রকর্মটি বর্ণনা করেছেন: “আমি টেবিলে একজন অন্ধের ছবি আঁকছি। সে তার বাম হাতে এক টুকরো রুটি ধরেছে এবং তার ডান হাতে এক ওয়াইন জগ ধরেছে।

‘লা রিভ’ চিত্রকর্মটি পিকাসো ১৯৩২ সালে এঁকেছিলেন, যার অর্থ ফরাসি ভাষায় ‘স্বপ্ন’।

‘জ্যাকলিন’ চিত্রকর্মটি পিকাসো তার দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যাকলিনকে উৎসর্গ করে এঁকেছিলেন।

‘দি ওম্যান ইন হ্যাট অ্যান্ড ফার কলার’ চিত্রকর্মটি পিকাসো ১৯৩৭ সালে এঁকেছিলেন এবং এটি স্পেনের বার্সেলোনার কাতালোনিয়ার জাতীয় শিল্প জাদুঘরে প্রদর্শিত রয়েছে।

পিকাসো ‘দি কিস’ ১৯২৫ সালে কড়া বাস্তববাদের উপর ভিত্তি করে এঁকেছিলেন।

পিকাসোর আঁকা অসংখ্য বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে ‘গোয়ের্নিকা’ অন্যতম। ১৯৩৭ সালে স্পেনের একজন স্বৈরশাসকের অনুরোধে জার্মানি ও ইতালি যৌথভাবে আক্রমণ চালায় স্পেনের গোয়ের্নিকা শহরে। পিকাসোর মতো যুদ্ধবিরোধী শিল্পী তাই এর প্রতিবাদ না করে পারেননি। এই ছবিতে যুদ্ধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।

আজ এই প্রভাবশালী চিত্রশিল্পীর ১৪২তম জন্মদিন। ছবি আঁকা নিয়ে পিকাসো বলেন, একটি শিশুর মত আঁকা শিখতে আমার পুরো জীবন লেগেছে। হয়তো তাই, কিন্তু পুরো জীবনে পিকাসো যত পেইন্টিং এঁকেছেন, সেজন্য ইতিহাস যুগের পর যুগ পিকাসোকে মনে রাখবে।

/এআই

Exit mobile version