Site icon Jamuna Television

১৪০০ মাইল দূর থেকে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আলোচনায় হুতি বাহিনী

প্রায় ১৪০০ মাইল দূর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আলোচনায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ইহুদিদের ভূখণ্ডে ব্যালেস্টিক মিসাইল আর ড্রোন ছুড়ে নিজেদের সামরিক সক্ষমতার জানান দিয়েছে সংগঠনটি। গেল কয়েক বছরে, ইরানের সহায়তায় হুতিদের অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে এসব দূরপাল্লার সমরাস্ত্র। এছাড়া রকেটসহ অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্রও আছে হুতিদের কাছে।

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিপুল বালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন ছুড়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তাদের দূরপাল্লার সমরাস্ত্রের সক্ষমতা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের।

যদিও হুতিদের সমরাস্ত্র ভাণ্ডার কতটা শক্তিশালী সে বিষয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করে না সংগঠনটি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সামরিক শক্তি আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাণ্ডারের বেশিরভাগ সমরাস্ত্রই অবশ্য ইরানের দেয়া। ওমান, আরব সাগর ও লোহিত সাগর হয়ে তেহরান থেকে হুতিদের হাতে পৌঁছায় এসব অস্ত্র।

পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের তৈরি কিয়াম ওয়ান ও টু, ফাতেহ- ওয়ান ওয়ান জিরো ও খাইবারের মতো ব্যালেস্টিক মিসাইল মালিক হুতিরা। তাদের আছে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য বেশকয়েক ধরনের ক্রুজ মিসাইল।

আকাশপথেও শক্তিশালী হুতিরা। আবাবিল, সামাদ, শিহাব, শাহেদের মতো আত্মঘাতী ড্রোন তো আছেই আরও আছে মেরসাদ ওয়ান ও টু নামের চালকবিহীন ইরানি যুদ্ধযান।

সমুদ্রপথে শত্রুদের মোকাবেলায় অ্যান্টিশিপ মিসাইল ও রকেট রয়েছে হুতিদের ভাণ্ডারে। ইরানের তৈরি কয়েক ধরণের সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের পাশাপাশি তুফান, করনেটের মতো এন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইলেরও মালিক এই গোষ্ঠীটি।

বিভিন্ন ধরনের আধুনিক মর্টার, মাল্টিপল গ্রেনেড লঞ্চার, রাইফেল, মেশিনগানও আছে তাদের। দীর্ঘদিন ধরে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে তারা। গুঞ্জন রয়েছে, ইরান ছাড়াও হুতিদের অস্ত্র সহায়তা দেয় কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।

এটিএম/

Exit mobile version