Site icon Jamuna Television

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে দেশটির?

ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধের অনেক নিয়ম রয়েছে, রয়েছে সংজ্ঞা যুদ্ধাপরাধেরও। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেসামরিক নাগরিক ও তাদের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি অবকাঠামোর ওপর যেকোনো হামলা যুদ্ধাপরাধ। এমনকি সংঘাতে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র ব্যবহারও নিষিদ্ধ।

আইনে আরও বেশকিছু বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু কোনোকিছুরই তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। আগ্রাসনের শুরুতেই তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ। লাগাতার হামলায় একের পর এক শরণার্থী শিবির, হাসপাতালে বোমা ছুঁড়ছে ইহুদি সেনারা। নির্বিচারে হত্যা করছে বেসামরিকদের।

কোনো নিয়মই যখন মানছে না নেতানিয়াহু, তখন একের পর এক দেশ তার বিরুদ্ধে তুলছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ। এমনকি খোদ জাতিসংঘও বলছে, ইসরায়েলের বর্বরতা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কী হবে যদি ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ হয়? মূলত যুদ্ধে নিময় ভাঙা হচ্ছে কিনা তা নজরদারির দায়িত্ব আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ‘আইসিসি’ ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ‘আইসিজে’র। দেশের বিরুদ্ধে রায় দিতে পারে আইসিজে আর কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারের ক্ষমতা আছে আইসিসির।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যদি ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ হয়, তবে সে রায় বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এই পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স তেল আবিবের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কাজেই ধারণা করা যায়, তাদের ভেটো ক্ষমতার কারণে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না তেলআবিবকে।

আগ্রাসনের নির্দেশদাতা হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারবে আইসিসি। তবে তাতেও নেই বড় কোনো বিপদের শঙ্কা। আইসিসির নিজস্ব কোন বাহিনী না থাকায় নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে হলে খোদ ইসরায়েলেরই সাহায্য নিতে হবে তাদের। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারের সমন জারি করেছে তারা। এই পরোয়ানা মাথায় নিয়ে কয়েকদিন আগেই কাজাখস্থান ঘুরে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

/এএম

Exit mobile version