Site icon Jamuna Television

‘বাংলাদেশের হার’ রশিদ খানের জন্মদিনের উপহার

রশিদ খানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে ১৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে মাশরাফিদের জয়ের জন্য ২৫৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় আফগানিস্তান। জবাবে রশিদ খান , মুজিবুর রহমানদের বোলিং নৈপুণ্যে ৪২ ওভার ১ বলেই ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।

পুরো ইনিংসে কখনোই আফগান ইনিংস টপকানোর লক্ষ্যের কাছাকাছি ছিলোনা টাইগাররা, আর তাইতো শেষের গল্পেও ছিলোনা উল্লেখ করার মত কিছু।

বরং ব্যাটের মত বল হাতেও রাশিদ খানের অনন্য সময় গেছে নিজের জন্মদিনে। আর তাইতো গুরুত্বহীন এই ম্যাচে পাওয়া জয়, তাঁর জন্মদিনের এক উপহারও বটে।

টসে হেরে বোলিং করতে নেমে টাইগারদের ভালো শুরু এনে দেন অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি। দলীয় ২৮ রানের মধ্যে ইহসানউল্লাহ আর রহমত শাহকে ফেরান এই পেসার। এরপর সাকিব একে একে তুলে নেন ৪ উইকেট। একপর্যায়ে ১৬০ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে যায় আফগানিস্তানের।

অবিচ্ছিন্ন ৮ম উইকেটে ৫৫ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়ে, বড় পুঁজি এনে দেন রশিদ খান ও গুলবাদিন নাইব। রশিদ ৫৭, আর গুলবাদিন ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া হাশমাতুল্লাহ শাহিদি খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। সাকিব চারটি ও আবু হায়দার দু’টি উইকেট নেন।

জবাবে, ইনিংসের শুরু থেকে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ। টাইগাররা প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় ১৫ নাম্বার ওভারে। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সাকিব আর মাহমুদুল্লাহ ছাড়া আর কেউ দুই অংকের দেখা পাননি।

প্রথম উইকেটের শিকারী আফগান তরুণ তুর্কি মুজিব-উর-রহমান। তার বলে আফতাব আলমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পরও ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারেননি লিটন দাসও।

পরে মুমিনুল হককে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুল। মাত্র ৯ রান করেই ফেরেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এ ব্যাটসম্যান। এরপর তাদের পথ ধরেন মোহাম্মদ মিথুন। সেই গুলবাদিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান সাকিব। তাকে দারুণ সঙ্গ দিতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন টাইগাররা। তবে স্বপ্ন ভেস্তে যায় রশিদ খানের দুর্দান্ত গুগলিতে সাকিব (৩২) বোল্ড হয়ে ফিরলে।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রশিদ খানের বলে ক্রিজে নামার পর থেকেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন না তিনি। সেই তারই বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিস্টার কুল। এতে খাদে পড়ে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে মেহেদী মিরাজ আউট হলে পাকে পড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। রহমত শাহর বলে হাশমততুল্লাহ শাহিদিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

দলীয় ১০০ রানে রহমত শাহর বলে হাশমতউল্লাহ শহীদির হাতে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ১১০ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে আফতাব আলমের হাতে ক্যাচ হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলীয় ১১৯ রানে রান আউট হন আবু হায়দার রনি। দলীয় ১১৯ রানেই মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হন রুবেল হোসেন।

আজ সুপার ফোরের মিশন শুরু হবে দু’দলের। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান।

যমুনা অনলাইন: আরএম

Exit mobile version