Site icon Jamuna Television

কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও গাজায় ‘মানবিক অস্ত্রবিরতি’র আহ্বান বিভিন্ন পক্ষের

ছবি: রয়টার্স

গাজায় অস্ত্রবিরতির দাবিতে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। গত এক মাস ধরে টানা ইসরায়েলি হামলায় চলছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। তাই উপত্যকাটিতে ত্রাণ সরবরাহের জন্য সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ অথবা অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। খবর রয়টার্সের।

অস্ত্রবিরতির ক্ষেত্রে মূলত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লড়াই বন্ধ রাখে দুই পক্ষ। কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে সাময়িক অস্ত্রবিরতির মেয়াদ। অন্যদিকে, মানবিক কারণে অস্ত্রবিরতির ক্ষেত্রে যুদ্ধ বন্ধ রাখা হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। মুলত খাবার-ওষুধের মতো অতি জরুরি ত্রাণ সরবরাহের জন্য দেয়া হয় এই মানবিক অস্ত্রবিরতি।

জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন বলেন, মানবিক কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা উচিৎ গাজায়। জাতিসংঘ মহাসচিবসহ প্রত্যেকেই এই ইস্যুতে জোর দিচ্ছেন। গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সাময়িক অস্ত্রবিরতির কোনো বিকল্প নেই। তাই বিবদমানসহ সব পক্ষের কাছে আহ্বান, আপনারা মানবিক কারণে সাময়িক অস্ত্রবিরতির জন্য এগিয়ে আসুন।

তবে সাময়িক অস্ত্রবিরতির জন্য ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যদিকে হামাস বলছে, সাময়িক অস্ত্রবিরতির সুযোগে আদতে গাজায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান পুনর্বিন্যাস করতে চায় তেল আবিব।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মার্কিন প্রতিনিধি রবার্ট উড বলেন, আমরা বারবার চেষ্টা করছি অস্ত্রবিরতির। কারণ, ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে রয়েছেন গাজার নিরপরাধ বাসিন্দারা। তাদের এই মুহূর্তেই সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু দুপক্ষের নানামুখী শর্তে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৪ সালেও গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়েছিল ইসরায়েল। সেসময় ত্রাণ প্রবেশের সুবিধার্থে মাত্র ৫ ঘণ্টার জন্য মানবিক অস্ত্রবিরতি দেয়া হতো।

/এএম

Exit mobile version