Site icon Jamuna Television

পশ্চিমাদের দ্বিমুখী আচরণ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ক্ষোভ ফিলিস্তিনি প্রতিনিধির

রাশিয়াসহ কিছু দেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে তৎপর হলেও, ইসরায়েলের বেলায় দ্বিমুখী অবস্থান পশ্চিমাদের। এমন অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি। গাজায় অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জেনেভায় মানবাধিকার কমিশনের বৈঠকেও পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রবিরতির দাবি ওঠে। খবর আলজাজিরার।

জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয়ের বাইরে গাজায় হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এতে অংশ নেন ফিলিস্তিনসহ ৪০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা। যাদের বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার। অবশ্য পশ্চিমা কোনো দেশের প্রতিনিধি যোগ দেননি এতে। এমনকি ডাচ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও কিছুটা দূরত্বেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

এদিন বক্তব্যে পশ্চিমাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি ইব্রাহিম খ্রাইসি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বহু আইন আছে। তবে সমস্য হলো, সেগুলো যখন কেবল ইউক্রেন ও অন্যদের বেলায় প্রয়োগ করা হয়। ইসরায়েলের বেলায় একটি বিব্রতকর অবস্থান নেয়া হয়। যারা নিজেদের মুক্ত পৃথিবীর অংশ মনে করেন, রক্তপাত বন্ধ ও অস্ত্রবিরতিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।

গাজায় পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রবিরতি কার্যকরের দাবি তোলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। তাদের যুক্তি, ইসরায়েলের আগ্রাসনের জেরে তৈরি তীব্র মানবিক সংকট মোকাবেলায় সাময়িক অস্ত্রবিরতি যথেষ্ট নয়।

ওসিএইচএ এর মুখপাত্র জেন লেরকে বলেন, পৃথিবীতে কোনো নরক থাকলে তা গাজার উত্তরাঞ্চল। মৃত্যু, বঞ্চনা, হতাশা, উচ্ছেদ আর সত্যিকার অর্থে অন্ধকারের কিনারায় তাদের অস্তিত্ব। ১১ অক্টোবর বিদ্যুুৎকেন্দ্র বন্ধ আর জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই অন্ধকারে ডুবে গেছে তারা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ধারণক্ষমতার ১০ গুণ বেশি মানুষ। সেখানে কী যে চ্যালেঞ্জের মুখে মানুষের দৈনিক জীবনযাপন।

ওসিএইচএ জানায়, মানবিক সহায়তা নিয়ে আগে যেখানে দিনে ৫০০ ট্রাক প্রবেশ করতো গাজায়, সেখানে ২১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮২১টি ত্রাণবাহী যান ঢুকেছে উপত্যকায়।

এসজেড/

Exit mobile version