Site icon Jamuna Television

দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন-চীনা জাহাজের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বিরোধপূর্ণ জলসীমায় আগ্রাসন চালানোকে কেন্দ্র করে ফিলিপাইন ও চীনের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ফিলিপাইনের অভিযোগ, দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির পণ্য সরবরাহকারী নৌযানকে বাধা দেয়া হয়। এ সময় চীনের ৩০টিরও বেশি সামরিক নৌযান ধাওয়া করে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে। এ সময় চীনের যুদ্ধজাহাজ থেকে পানি ছুড়ে ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় ফিলিপাইনের পণ্যবাহী নৌযান। এ ঘটনা পর পাল্টা ছুটে আসে ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের একাধিক টহল বোটও। খবর রয়টার্সের।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিপাইন। সেখানে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরের থমাস শোল এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে থাকা ফিলিপাইনের নৌঘাঁটিতে পণ্য পাঠানো হচ্ছিলো। এসময় পণ্যবাহী নৌযানকে ধাওয়া করে চীনের যুদ্ধজাহাজ। এ পরিস্থিতিতে ফিলিপাইনের সামরিক নৌযান এগিয়ে এলে তারই প্রতিক্রিয়ায় আরও ২ ডজন সামরিক নৌযান পাঠায় চীন।

ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড কমান্ড্যান্ট রনি গ্যাভান বলেন, চীনা কোস্টগার্ডের ৫টি জাহাজ এবং ২৮টি টহল বোট আমাদের বাধা দেয়। তারা ফিলিপাইনের পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে ধাওয়া করে। এ ধরনের আগ্রাসী আচরণ অত্যন্ত নিন্দাজনক। তবে আমরা যেভাবেই হোক আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।

দক্ষিণ চীন সাগরের থমাস শোল মূলত একটি বিতর্কিত দ্বীপ। ১৯৯১ সাল থেকে এটি ফিলিপাইনের দখলে রয়েছে। সেখানেই রয়েছে ফিলিপাইনের নৌঘাঁটি। তবে দ্বীপটিকে নিজেদের মালিকানার বলে দাবি করে আসছে চীন।

এদিকে, চীনের সাথে সামরিক উত্তেজনার মাঝেই জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে ফিলিপাইন। এতে ম্যানিলার ওপর আরও ক্ষিপ্ত বেইজিং।

এসজেড/

Exit mobile version