Site icon Jamuna Television

জ্বালানির অভাবে বন্ধ যখন গাজার হাসপাতাল, তখন সাইকেলে চেপে চিকিৎসা ফেরি করেন তিনি

চিকিৎসক হাসান জেইন আল দিন।

পেশায় তিনি চিকিৎসক। বাইসাইকেলে চেপে ঘোরেন গাজার এক শরণার্থী শিবির থেকে আরেকটিতে। নিশ্চিত করছেন অসহায় মানুষগুলোর চিকিৎসা।

জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে অবরুদ্ধ এ উপত্যকার বেশির ভাগ হাসপাতাল। যে কারণে চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাও চলে গেছে এ উপত্যকার বাসিন্দাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাই নিরীহ এ মানুষগুলোকে চিকিৎসা সেবা দিতেই হাসান জেইন আল দিনের এই প্রানান্তকর চেষ্টা।

চিকিৎসক হাসান বলেন, ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক মানুষ জাতিসংঘের স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত অনেকেই ধ্বংসস্তূপের ভেতরে তাদের ওষুধ ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছে। আমি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে তাদের চিকিৎসা দেই। জ্বালানি না থাকায় আমার গাড়িটা অচল হয়ে আছে। তাই সাইকেল কিনেছি।

রোগীদের চেক-আপের জন্য সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় এই চিকিৎসককে। যা মোটেই সহজ কাজ নয়। ভবন ধসে পড়ায় অনেক রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সেসব স্থানে কাঁধে বয়ে বেড়াতে হয় সাইকেলটি। হাসান জেইন আল দিন বলেন, ইসরায়েলের বোমা হামলায় অনেক রাস্তাই এখন ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাগুলোতে বাইসাইকেল কাঁধে বয়ে বেড়াতে হয়। যতক্ষণ না চলাচলের উপযুক্ত রাস্তা পাই, ততক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হয়।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ উপত্যকা যখন প্রায় মৃত্যুপুরী, তখন হাসান জেইন আল দিনের মতো চিকিৎসকরা যেন আশার আলো। শত প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে এভাবেই মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন তারা। বিধ্বস্ত এ উপত্যকায় তৈরি হচ্ছে মানবতার হাজারও গল্প।

/এএম

Exit mobile version