Site icon Jamuna Television

খলনায়ক থেকে নায়ক মোহাম্মদ শামি

ছবি: সংগৃহীত

কথায় আছে কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ। সেই সর্বনাশটা যদি হয় হার্দিক পান্ডিয়ার, তবে পৌষমাস নি:সন্দেহে মোহাম্মদ শামির। বিশ্বকাপের শুরুর চার ম্যাচে জায়গা হয়নি দলে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে পান্ডিয়ার ইনজুরি কপাল খুলে দেয় শামির। কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগটা হেলায় নষ্ট করেননি তিনি। তার অগ্নিমূর্তিতে পুরো ভারতীয় দলেই এখন পৌষমাস। ৬ ম্যাচ খেলে আসর সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট শিকার। যার তিনটিতেই ফাইফার।

অথচ একাদশ কেন, শামিরতো থাকার কথা ছিলো কারাগারে। স্ত্রীর করা মামলায় বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তটাও যার কেটেছে আদালতের বারান্দায়। শেষ পর্যন্ত সেই শামি বিশ্বমঞ্চে ফেরেন আদালতের বিশেষ অব্যাহতি নিয়ে।

ক্যারিয়ারের উঠতি সময়ে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হাসিন জাহানকে। সেই স্ত্রীই একসময় কাল হয়ে দাঁড়ালেন শামির জীবনে। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়ায় প্রতারণা, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে একের পর এক মামলা করেন স্ত্রী হাসিন জাহান। এমনকি শামির বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটারও অভিযোগ তুলেন তিনি।

শুধু কি স্ত্রী, ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় খলনায়ক বানানো হয় তাকে। প্রকাশ্যে বলা হয় তাকে পাকিস্তান চলে যেতে। মাঠের বাইরের এসব ঘটনায় অন্তত তিনবার সুইসাইড এটেম্পট নেন মোহাম্মদ শামি। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা তাতে সায় দেননি। তাকে দেখতে চেয়েছেন নায়কের ভূমিকায়।

জীবনের মঞ্চে একের পর এক হোঁচট শামি সামলেছেন মাঠের পারফরমেন্সে। পেসার হওয়ার স্বপ্নে নিজ রাজ্য ছেড়ে কলকাতায় আসা ১৬ বছরের সেই ছেলেটি আজ রোহিত-কোহলিদের ছাপিয়ে ভারতের দেড়শো কোটি মানুষের নায়কের আসনে। ধর্মশালা থেকে মুম্বাই, চেন্নাই থেকে পুনে। সর্বত্রই এখন মোহাম্মদ শামির জয়গান। প্রশংসা করছেন স্বয়ং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপেক্ষা এখন আহমেদাবাদের শেষ মঞ্চটাও নিজের করে নেয়ার।

/আরআইএম

Exit mobile version