Site icon Jamuna Television

দুই ‘আনসাং হিরো’ই মান বাঁচালো

বাঁচা-মরার লড়াই। কে জানতো আফগানিস্তানই এত কঠিন পরীক্ষা নেবে টাইগারদের। গ্রুপ পর্বে মাশরাফীদের এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছিল আজগর স্ট্যানিকজাইয়ের দল। সুপার ফোরে এসে আফগান ভয়ই যেন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল বাংলাদেশকে। যথারীতি ব্যাটিং বিপর্যয়েও পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত যে ঘুরে দাঁড়াতে পারলো তার মূল কৃতিত্ব দুই ‘আনসাং হিরো’ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও হঠাৎই উড়ে গিয়ে দলের সাথে যোগ দেয়া ইমরুল কায়েসের। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৮১ বলে ৭৪ রান করে মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে গেলেও ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৮৯ বলে করেছেন ৭২ রান। এই দু’জনের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ।

অথচ, শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিঠুন আলীর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিক-লিটনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। তারপর, লিটনের অহেতুক টেম্পারমেন্ট হারানো। সাকিব-মুশফিকের আত্মহনন। আরও একটি বিপর্যয়ই যখন নিয়তি মনে হচ্ছিল তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন ইমরুল-মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদুল্লাহ এই সিরিজে বলার মতো কিচু করতে পারেননি। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যাও থিতু হয়েছিলেন বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ফিরে যেতে হয়েছিল। নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করার জন্য আজকের দিনটিই বেছে নিয়েছিলেন। দারুণ সব সিঙ্গেলসে উইকেটে থিতু হলেন। আবার সময়ে সময়ে চার-ছয়ে সচল রাখলেন রানের চাকাও। আফতাব আলমের অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলটি সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়ার আগেই দলকে লড়াই করার ভিত্তি এনে দিয়েছিলেন।

ইমরুল কায়েসের কথাও আলাদা করে বলতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বাইরে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হঠাৎই সৌম্যের সাথে তাকে ঢাকা থেকে দুবাইয়ে উড়িয়ে নেওয়া হলো। এ নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। হঠাৎই মাঠে নেমে কতটা কী করতে পারবেন সেটি নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কও। মাঠে নামার পরই তার সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হলো মুশফিককে। পাহাড় সম চাপ! সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ালেন ইমরুল। ঠাণ্ডা মাথায় মাহমুদুল্লাহর সাথে গড়ে তুললেন জুটি। আর বাজে বল পেলে সীমানা ছাড়া করতেও দেরি করলেন না। ৭২ রানের কার্যকর ইনিংসটিতে আছে ৬টি চারের মার।

আরও একবার নিজেদের দারুণভাবে প্রমাণ করলেন দুই ‘আনসাং হিরো’ ইমরুল-মাহমুদুল্লাহ। সবচেয়ে বড় কথা, বোলারদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার কৃতিত্ব এই দু’জনেরই।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version