Site icon Jamuna Television

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

হুমায়ুন রশিদ:

উপকূলীয় অঞ্চলে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। এদিন সন্ধ্যায় পটুয়াখালী-ভোলা, লক্ষ্মীপুর উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।

ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের আকমল আলী ঘাটের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে প্লাবিত হয়ে বহু ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। ওই এলাকার অনেকেই এখনও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। এসব এলাকায় বিচ্ছিন্ন আছে বিদ্যুৎ সংযোগও।

এছাড়া, ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে জেলাটির চার উপজেলার ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়িও। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। বেশ কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে, বেশ কিছু কাঁচা ঘর ভেঙেছে ঝালকাঠিতে। খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত।

মিধিলির প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দ্বীপ জেলা ভোলাতেও। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ উপজেলায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৪ শতাধিক বাড়িঘর।

বরিশালের বটতলা সড়কের পানি এখনও নেমে না যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল, ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

অপরদিকে, মিধিলির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীও। বড় লোকসানের শঙ্কা করছে বনবিভাগ। শনিবার দুপুর নাগাদ শুরু হয় মোংলার পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী জাহাজ উদ্ধারে কাজ। উপকূলের জেলাগুলোতে বেশ কিছু মাছ ধরার ট্রলারেরও খোঁজ মেলেনি এখনও।

এএস/

Exit mobile version