Site icon Jamuna Television

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছেলেকে হত্যা করলেন মা!

কামাল হোসাইন, নেত্রকোণা:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। একদিনের রিমান্ড শেষে আজ রোববার আদলতে পাঠালে বিচারক মেহেরা আক্তারকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জনি মিয়াকে (১১) হত্যার পরিকল্পনা করেন তার গর্ভধারিনী মা মেহেরা আক্তার। মেহেরার সাথে পরকিয়ার অভিযোগে আটক একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন ফকিরের (তমু ফকির) ছেলে সবুজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হলে সবুজ মিয়া পুলিশ ও আদালতের কাছে জনিকে হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যার পর বস্তাবন্দিকরে পুকুরে ফেলে রাখার ঘটনা স্বীকার করেন।

সবুজ মিয়া পুলিশ ও আদালতকে জানায়, শত্রুতার জন্য প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেহেরা তার নিজের সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং হত্যার পর তার লাশ গুম করার জন্য পুকুরের পানিতে বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখার পরিকল্পনা করে।

আদালতে জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তির এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের এসআই ছামেদুল হক।

ছামেদুল হক আরো জানান, জনিকে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ৪ সেপ্টেম্বর জনির মা মেহেরা কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে জনিকে কীটনাশক পান করায়। এরপর জনি ২/৩ দিন বমি করে এবং শারিরীকভাবে অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে।

কিন্তু তার মৃত্যু না হওয়ায় শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নীরবে তার মা মেহেরা অপর সহযোগিদের নিয়ে পুকুরে গিয়ে জনিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে রাতে সবুজ, সনতু ও মেহেরা তিনজনে মিলে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে রাখে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সবুজ মিয়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা, হত্যার ঘটনা এবং হত্যার পর বস্তাবন্দি করার সময় নিজের জড়িত থাকার কথা পুলিশ ও আদালতের কাছে স্বীকার করে। তার দেয়া জবানবন্দিতে একই গ্রামের সনতু মিয়া ও জনির মা মেহেরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জনি হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জনির মা মেহেরাসহ তার অপর দুই সহযোগি সবুজ ও সনতুকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানের নির্দেশ দিয়েছেন।

এসআই ছামেদুল হক জানান, মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।

Exit mobile version