Site icon Jamuna Television

নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি চলছে ছাপাখানায়

সাইফুল ইসলাম:

কদিন পরেই শুরু হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার মহাযজ্ঞ। সেজন্য রাজধানীর প্রিন্টিং প্রেসগুলোতে আগাম প্রস্তুতি চলছে। অনেকে ডিজাইনের কাজ আগেভাগে সারছেন। দরকারি কাগজ ও কালি মজুদেও ব্যস্ততা কম নয়।

প্রিন্টিং প্রেসের মালিকরা বলছেন, সব দল নির্বাচনে এলে ছাপাখানায় কাজের পরিমাণ বাড়বে। তাই মৌসুমী শ্রমিকদের সাথেও চলছে যোগাযোগ।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে কাজের প্রস্তুতি ছাড়াও ছাপাখানাগুলোতে এখন চলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ছাপানোর ধুম। ছাপা হচ্ছে বইও। ঢাকার ছাপাখানা সমৃদ্ধ এলাকা আরামবাগ, ফকিরাপুল, নীলক্ষেত, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্রের দেখা মিলে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর। সেদিনই শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। যা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

ছাপাখানার কয়েকজন কর্মচারী বলেন, কাগজের দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ। হয়তো আগের চেয়ে কম ছাপাবে পোস্টার। তবে কাজ পাওয়া যাবে। আর যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়, তাহলে কাজের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের ব্যবধানে কাগজ, কালি ও বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। খরচও বেড়েছে পোষ্টার তৈরির।

রাজধানীর এ কে প্রিন্টারের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, খরচ বেড়েছে সবকিছুর। দিনে আমাদের এখন ১০ হাজার টাকার কাজ করা দরকার, কিন্তু কাজ করেতে পারতেছি ৫-৬ হাজার টাকার।

রিয়েল প্রিন্টারের স্বত্বাধিকারী এস এম আকতার হোসেন বলেন, এখন কাজের মৌসুম। কিন্তু দেশি কাগজ ও কালির দাম বাড়ায় লাভ হচ্ছে না।

নির্বাচনী পোষ্টারের আকার ও ওজন নির্ধারণ করা থাকে। ছাপাখানার মালিকরা বলছেন, আগেরবারের নির্দেশনা অনুসরণ করে তাদের প্রস্তুতি আছে।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, সকল দল যদি নির্বাচনে আসে, তাহলেও কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। একইসঙ্গে বই ছাপাসহ অন্যান্য কাজগুলো চালিয়ে নেয়া যাবে।

এদিকে, এখনও দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেকে ছাপাখানার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

/এমএন

Exit mobile version