Site icon Jamuna Television

নানার মৃত্যুতে হতবিহ্বল পরীমণি

একদা পিরোজপুর থেকে রাজধানীতে এসে ঢাকাই সিনেমায় কাজ শুরু করেন পরীমণি। এসময়ে তার একমাত্র অভিভাবক ছিলেন নানা শামসুল হক গাজী। এই নানাই ছিলেন তার পথচলার শক্তি ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণার জায়গা।

সেই নানা বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যখন কিছুটা সুস্থ হতেন, তাকে বাসায় নিয়ে আসা হতো। কিন্তু এবার চিরদিনের জন্য চলে গেলেন পরীমণির ‘শতবর্ষী’ নানা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

পরীমণির নানার মৃত্যুর খবর জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই ছবি পোস্ট করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালে নানাকে নিয়ে ঢালিউড এ নায়িকা বলেছিলেন, নানার এখন যে অবস্থা, কখন কী ঘটে যায়, বলা যাচ্ছে না। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না, নানা না থাকলে আমার যে কী হবে। কীভাবে থাকব আমি! এখন একমাত্র অভিভাবক হারিয়ে নিশ্চয়ই মুষড়ে পড়েছেন পরীমণি। একান্ত আপনজন বলতে তার আর কেউ রইলো না।

জানা গেছে, গুলশান আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর শুক্রবার ভোর ৪টায় পরীমণি তার নানার মরদেহ নিয়ে নিজ গ্রামে রওনা দিয়েছেন। ভান্ডারিয়ায় নানির কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে নানা শামসুল হক গাজীকে।

২০২১ সালে ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমণির কারাগারে যাওয়া প্রসঙ্গে শামসুল হক বলেছিলেন, ষড়যন্ত্র করে তার নাতনিকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিয়ের সময়ও ঢাকাই সিনেমার নায়িকার পাশে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে দেখা গেছে তার নানাকে। শামসুল হক গাজী স্বমহিমায় হাজির ছিলেন নাতনির ছেলের জন্মের সময় এবং তার ‘মুখে ভাত’ অনুষ্ঠানেও।

২০১৬ সালে পরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, মায়ের মৃত্যুর সময় তার বয়স মাত্র তিন। বাবাকেও হারিয়েছেন অনেক বছর আগে। তার কোনো ভাই বোন নেই বলেও জানান পরীমণি।

/এএম

Exit mobile version