দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চর ভদ্রাসন) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত থেকেছেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এই আসনে ফের নৌকা প্রতীক পেলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চব্বিশের ভোটে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ।
এর আগে, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিপরীতে দুইবারই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন নিক্সন চৌধুরী। তার কাছে দুইবারই ধরাশয়ী হন আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা কাজী জাফর উল্লাহ। দুইবারই জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী। কিন্তু এবারও নিক্সনের মুখে হাসি ফুটেনি। নৌকা উঠেছে কাজী জাফর উল্লাহর হাতে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আপাতত প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এই দুই আসনে পরে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান।
উল্লেখ্য, নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়ও। অন্যদিকে, জ্যেষ্ট রাজনীতিবিদ কাজী জাফর উল্লাহ এবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হওয়ায় নিক্সন চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেকে। কারণ, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত এইচ টি ইমাম। সাবেক ওই আমলাও ভোটের মাঠে লড়েননি। এদিকে, কাজী জাফর উল্লাহর সঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর সম্পর্ক সাপে-নেউলে। প্রকাশ্যেই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তৃতাও দেন।
/এনকে/এমএন

