Site icon Jamuna Television

প্রথম দিনে কোনোমতে তিনশ পার বাংলাদেশের

তিনশ খুব খারাপ না হলেও এই উইকেট বিবেচনায় খুব একটা ভালোও না। এ রকম চমৎকার রৌদ্রজ্জ্বল দিনে আগে ব্যাট করে সহজেই ৪৫০ রানের দেখা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থিতু হতে পারেনি টাইগাররা। ফলে ৯ উইকেট হারিয়ে দলীয় ৩১০ রান সংগ্রহে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দৃষ্টিনন্দন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট নেন এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট নেতৃত্বে অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথমেই ওপেনার জাকির হাসানের আউটে টাইগারদের শুরুটা নড়বড়ে করে দেয় কিউইরা। ইনিংসের ১৩তম ওভারে দিনের সেরা বলটায় ১২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাঁ-হাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের নতুন অধিনায়ক নাজমুল শান্তও ছিলেন অশান্ত। তবে টেস্ট ক্রিকেট যে, ‘ঠাণ্ডা মাথার খেলা’! ফলে অশান্ত ‘শান্ত’কে ৩৭ রানেই শান্ত করে দেন গ্লেন ফিলিপস। ফুলটস বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উইলিয়ামসনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শান্ত হন ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৫ বলে ৩৭ করে।

ছোট একটা জুটি হয় টাইগারদের তৃতীয় উইকেটে। ঠাণ্ডা মাথায় খেলছিলেন ওপেনার জয় ও মোমিনুল হক। মোমিনুল ৭৮ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। তবে আশাহত করেন তরুণ ওপেনার জয়। এ যাত্রায় আবারও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে আক্ষেপে পোড়েন এই ডানহাতি। শতকি-সুবাস পেতে পেতে সাজঘরে হাঁটা দেন ৮৬ রানে। ১৬৬ বল খেলে ১১টি চারের শটে তিনি এ রান করেন। জয়ের ফেরায় চা-বিরতির কিছুক্ষণ আগে ১৮৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

অধিনায়কের আউটের পরে ১০৬ রান যোগ করতেই পাঁচ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ উইকেটের সবগুলোই দিনের শেষ সেশনে। রান পেলেও থিতু হতে পারেননি কেউই। মুশফিকুর রহিম ফেরেন ১২ রানে। তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু আশা দেখালেও ৫৪ বলে চারটি চারের শটে ২৪ রান করে ফিরে যান। মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ ও নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ২৯ রানে। নাঈম হাসান করেন ১৬ রান। তাইজুল ৮ রানে ও শরিফুল ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১০ রান।

কিউইদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। এজাজ প্যাটেল ও কাইল জেমিসন নেন দুটি করে উইকেট। বাকি একটি উইকেট নেন ইশ সোধি।

/এমএইচ

Exit mobile version