Site icon Jamuna Television

দারুণ প্রত্যাবর্তনে ম্যানসিটির জয়

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করে বসে ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সিটিজেনরা। লাইপজিগকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ সেরা হলো পেপ গার্দিওলার দল।

নিজেদের ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আরবি লাইপজিগকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার সিটি। গত রাউন্ডেই এই দুই দল নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল। বাকি ছিল কেবল গ্রুপ সেরা নির্ধারণ। এমন সমীকরণের ম্যাচের ১৩ মিনিটেই সিটিজেনদের স্তব্ধ করে দেয় সফরকারীরা। লাইপজিগ গোলরক্ষক ইয়ানিস সাধারণ একটি গোলকিক নেন, কিন্তু মাঝমাঠে বলের গতি-প্রকৃতি ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি সিটি ডিফেন্ডার মানুয়েল আকনজি। তার ব্যর্থতায় সামনের পুরো অংশ ফাঁকা পেয়ে যান লোইস ওপেনদা। দুই ছোঁয়ায় বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে লিড ২-০ করেন ওপেনদা। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ছুটে যান ওপেনদা, দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুবেন দিয়াসকে ফাঁকি দিয়ে এবং বক্সে ইয়োশকো ভার্দিওলকে কাটিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গার্দিওলার শীর্ষরা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান কমান গোলমেশিন খ্যাত আর্লিং হাল্যান্ড। অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় প্রতিপক্ষের দুইজনের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে ফিল ফোডেনের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে আসরে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড।

পাসিং ফুটবলে ৭০তম মিনিটে শানানো আক্রমণে সমতা টানে সিটি। বাঁ দিক থেকে ভার্দিওলের পাস বক্সের মুখে ধরে বাঁ পায়ের শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন ফোডেন। আক্রমণে জোর দিতে বিরতির কিছুক্ষণ পর ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারকে তুলে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজকে নামান সিটি কোচ। নির্ধারিত সময় শেষের তিন মিনিট বাকি থাকতে তিনিই গড়ে দেন ব্যবধান। প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে আসা বল বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন এই আর্জেন্টাইন। ফলে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার শীর্ষরা।

টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিটি। রানার্সআপ লাইপজিগের পয়েন্ট ৯।

/আরআইএম

Exit mobile version