Site icon Jamuna Television

গাজায় ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রামক রোগ, মহামারির আশঙ্কা জাতিসংঘের

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি, ব্রংকাইটিস, হেপাটাইটিস এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে অঞ্চলটিতে। হাসপাতালগুলো বন্ধ থাকায় চিকিৎসা হচ্ছে না আহতদের। তাদের ক্ষতস্থান থেকেও ইনফেকশান ছড়াচ্ছে। গাজায় দ্রুত স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি না হলে গোটা অঞ্চলে মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি বর্বরতায় বিধ্বস্ত গাজায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। খাবার ও ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ডায়রিয়া এবং ৭০ হাজার শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক রামি আল আবাদলা বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব রোগী আমাদের কাছে এসেছে বেশিরভাগই সংক্রমিত রোগের। এরমধ্যে ব্রংকাইটিস, ডায়রিয়া এবং চর্মরোগই বেশি। এছাড়াও হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীও আছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু। এরমধ্যে ৭০ শতাংশেরই বয়স ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে।

গাজায় সব স্যানিটেশন সেবার কাজ এখন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে কলেরাসহ বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। টিকাদান কার্যক্রমের ব্যবস্থাও নেই। নিরাপদ পানিরও রয়েছে তীব্র সংকট। ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ছে আহতদের মধ্যে। সব মিলিয়ে ভেঙে পড়েছে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা মাইক রায়ান বলেন, গাজায় যে হারে সংক্রমিত রোগ দেখা দিচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই ইস্যুতে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। নইলে সেখানে মহামারি সৃষ্টি হবে।

এরআগে জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বর্বরতায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় তারচেয়ে বেশি প্রাণহানি হতে পারে।

এসজেড/

Exit mobile version