Site icon Jamuna Television

কপ-২৮: বাংলাদেশের জলবায়ু ন্যায্যতা দাবি নিয়ে যা বলছেন বিদেশি প্রতিনিধিরা

আহমেদ রেজা:

জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতে বাংলাদেশকে এ বিষয়ক কূটনীতি বৃদ্ধি করতে হবে। এমনটাই মতামত উন্নত দেশের প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই-কমিশনারদের ভাষ্য- বিনিয়োগ করতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে। প্রতিশ্রুতি দেন, লস এন্ড ড্যামেজ এবং অভিযোজন তহবিল নিশ্চিতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে তাদের দেশ।

২০১৮ সালে সুইডেনে ১৫ বছর বয়সে এক স্কুল শিক্ষার্থী জলবায়ু নায্যতার দাবিতে দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রতিবাদ শুরু করে। তার এই আন্দোলন গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে। সেই দেশেরই প্রতিনিধি নায়োকা মার্টিনেজ বাংলাদেশে জলবায়ু নিয়ে কাজ করেন। দূতাবাসের এই কর্মকর্তা কথা বলছিলেন ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ নিয়ে।

সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) নায়োকা মার্টিনেজ বলেন, জলবায়ু মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সংহতি জানাতে হবে। সব দেশগুলোই এখন জলবায়ু প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশমন ও অভিযোজন খাতে একসাথে কাজের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিন এনার্জি ও তৈরি পোশাক খাত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কতটা প্রভাব পড়ছে, সে বিষয়ে অবগত উন্নত দেশগুলো। তাই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ উপ হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেল। তিনি বলেন, দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। এটা সত্যিই কঠিন মুহূর্ত। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতারা তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি রাখতে আলোচনা করবেন বলে আমি আশা করি। বাংলাদেশের সাথে অভিযোজন খাতে আমরা কাজ করছি। লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল নিশ্চিতেও অব্যাহত থাকবে কার্যক্রম।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈশ্বিক তাপমাত্রা হ্রাসে কী করছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রধান জানান, অভিযোজন খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে সংস্থাটি। এছাড়াও লস এন্ড ড্যামেজ তহবিল নিশ্চিতে কাজ করবে তার সংস্থা। ইইউয়ের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি বলেন, অনুদান গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার মনে হয় ঋণ সহায়তারও দরকার আছে। আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন খাত থেকে অর্থ সহায়তা দেয়ার। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে ৩৯৫ মিলিয়ন ইউরো চুক্তি হয়েছে। এছাড়া অভিযোজন খাতে অর্থ বরাদ্দে নীতি তৈরিতে কাজ করি আমরা।

জলবায়ু ক্ষতিতে দিন দিন ভিটে হারা হচ্ছেন অনেকেই, বাড়ছে জলবায়ু উদ্বাস্তু। অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত অভিবাসন বৃদ্ধিতে সংকটে পড়ছেন অনেকে। এনার্জি ট্রান্সমিশন, বায়ো ডায়ভার্সিটি ও ক্লাইমেট এডাপটেশন প্যাক্টকে প্রাধান্য দিয়ে জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১ ডিসেম্বর গ্লোবাল লিডারস ফোরামে ফ্রান্সের সাথে ৩০ কোটি ইউরোর সহায়তা চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

এসজেড/

Exit mobile version