Site icon Jamuna Television

শ্রমমান ইস্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ

রিমন রহমান:

শ্রমমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া নীতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে চিঠি পাঠানোর পরই সামনে এসেছে শ্রমিক অধিকারের নানা বিষয়। নির্দিষ্ট কোনো খাত নিয়ে বলা না হলেও মূলত তৈরি পোশাক শিল্প নিয়েই দুশ্চিন্তা।

কেননা, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের শীর্ষ গন্তব্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র। উচ্চ শুল্ক দিয়ে দেশটিতে রফতানি হয় নীট ও ওভেন পোশাক। বিশেষ রফতানি সুবিধা বা জিএসপি বাতিল করার পরও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশ। তবে শ্রমমান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিমালায় বাংলাদেশের নাম স্থান পাওয়ায় উদ্যোক্তাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে অনাগ্রহী পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।

এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাণিজ্য সচিব বরাবার ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের লেখা সাম্প্রতিক চিঠিতে বলা হয়, শ্রম পরিবেশ রক্ষার ইস্যু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে, নীতিটি সর্বজনীন হলেও এই ইস্যুটি বাংলাদেশকে লক্ষ্য বানানোর শঙ্কা আছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন, শ্রমমান নিয়ে শ্রমিক পক্ষ কতটা সন্তুষ্ট?

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি জলি তালুকদার বলেন, আমরাই তো বলছি, মজুরি, শ্রমমান ও কারখানার নিরাপত্তার প্রশ্ন এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে পর্যাপ্ত না। এমনকি আইএলও কনভেনশন আমরা অনুসরণ করছি না। শ্রমিকদেরকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দর কষাকষি করে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে মোকাবেলার কৌশল বের করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অন্যান্য খাতগুলোতে শ্রমমান নিয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ, দুর্বলতা রয়েছে; যেমন মজুরি, কারখানার পরিবেশ, শ্রম নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকারের বিষয়ে। আমাদের রফতানিমূখী কোনো খাত যদি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ে, তাহলে তা বহন করার মতো শক্তি আমাদের কম।

তিনি আরও বলেছেন, সার্বিক বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। এতে সমস্যাগুলো নিদিষ্ট করা সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও শ্রমমান উন্নতির জন্য তাগিদ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিপরীতে উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রমমান ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম চলছে।

/এমএন

Exit mobile version