Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্রের ইশারায় গাজায় হামলার পরিধি বাড়িয়েছে ইসরায়েল: হামাস

হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামাদান। ছবি: গেটি ইমেজ।

যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেয়েই গাজায় হামলার পরিধি বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এমন অভিযোগ জানিয়ে হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দায়ী তেল আবিব। তবে চলমান সংঘাতের জন্য আবারও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকেই দায়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র। এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির পর গাজায় আবারও চলছে ইসরায়েলের নারকীয় তাণ্ডব। তেল আবিবের অভিযোগ ইসরায়েলী ভূখণ্ডে হামলার জবাবেই চালানো হচ্ছে এই অভিযান। দ্বিতীয় দফার এই হামলায় হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ’র মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, হামলার পরিধিকে আমরা দ্বিতীয় ধাপে নিয়ে গিয়েছি। কারণ হামাসই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। একদিকে, তারা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয়নি। অন্যদিকে, রকেট হামলা করেছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে। এর শাস্তি তাদের পেতেই হবে।

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সমঝোতার চুক্তি মেনে চলেনি হামাস। সহায়তা করেনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও। এ কারণেই আবারও শুরু হয়েছে সংঘাত।

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ইসরায়েল এবং কাতারের সাথে আলোচনা করে আমরা সংঘাত বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু হামাসের কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে না। বারবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা করছে হামাস। আমরা বারবার তাদের কাছে বন্দিদের তালিকা চেয়েছি। কিন্তু তারা সেটি আমাদের সরবরাহ করেনি। এভাবে প্রতিটি পদে পদে তাদের অসহযোগিতার জন্যই ভেস্তে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতী।

এদিকে হামাস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনেই গাজায় আবারও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সহিংসতার জন্য তেল আবিব আর ওয়াশিংটন দুই পক্ষকেই দায়ি করে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামাদান বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য মুলত দুটি পক্ষ দায়ি। একটি হলো ইসরায়েল, অপরটি হলো যুক্তরাষ্ট্র। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির লক্ষ্যই হলো বর্বর হামলা সহিংসতা চালিয়ে যাওয়া। কিভাবে হামলার পরিধি বাড়ানো যায় সেই সুযোগই তারা খুঁজতে থাকে। সেই সুযোগ তৈরী করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেল আবিব সফর করেন আর নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

তবে, যুদ্ধের এমন অবস্থায় সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

/এআই

Exit mobile version