Site icon Jamuna Television

আগ্রাসনে খাদের কিনারায় গাজার কৃষি ব্যবস্থা, প্রতিদিন লোকসান ২ মিলিয়ন ডলার

ছবি: আনাদুলু এজেন্সি।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদের কিনারায় গাজার কৃষি ব্যবস্থা। যেখানে প্রাণ বাঁচানোই দায়, সেখানে ফসলের যত্ন নেয়া আদিখ্যেতা। ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ফসল। যুদ্ধের কারণে হাতে নেই নগদ অর্থ, ধারদেনায় জর্জরিত অসহায় মানুষগুলো। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে বন্ধ হবার পথে অনেকেরই জীবন ও জীবিকা। এ অঞ্চলের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে আছে কৃষির ওপর। তবে জীবন বাঁচানোর তাগিদে মৃত্যুর সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে ফসলের দিকে খেয়াল রাখতে পারেননি বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি।

বাগানের সবজি বেচেই সংসার চলতো গাজার বাসিন্দা আহমদ আবু সালেহ’র। বিশাল এই বাগানের পেছনে ছিলো বিনিয়োগ, শ্রম ও যত্মআত্তি। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে নষ্ট হয়ে গেছে বাগানের সব টমেটো। সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবে সেই চিন্তায় এখন কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আরও স্পষ্ট হচ্ছে গাজার এই বাসিন্দার।

আবু সালেহ বলেন, আমার টমেটো বাগান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাগানটি ইসরায়েলি সেনাঘাঁটির খুব কাছে। ভয়ে বাগানে আসতে পারিনি। গাছগুলোর যত্মও নিতে পারিনি। ধার করে এই বাগান করেছিলাম। পুরো বাগানের প্রায় সব টমেটোই নষ্ট হয়ে গেছে।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা শুরু হয় অক্টোবরের প্রথম দিকে। তখন জয়তুনের ভরা মৌসুম। প্রতিবছর প্রায় ১০ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয় এ ফল থেকে। এবছর যা একেবারে শূন্যের কোঠায়। ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে বেশির ভাগ জয়তুন। কোথাও কোথাও আবার বাগানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা।

গাজার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, চলমান সংঘাতে অঞ্চলটির কৃষিখাতে দৈনিক প্রায় দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান হচ্ছে। দ্রুত এ আগ্রাসন বন্ধ না হলে যার পরিমাণ আরও বাড়বে।

/এআই

Exit mobile version