Site icon Jamuna Television

বাংলাদেশে কৃষিকাজে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

‘স্ক্যালিং আপ সোলার ইরিগেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষিকাজে সৌরশক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলো সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার সৌর সেচ পাম্প ইনস্টল করতে ১.৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘স্ক্যালিং আপ সোলার ইরিগেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কপ-২৮’র বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে দেশটির সৌর সেচ (২০২৩-২০৩১) বাড়ানোর রোডম্যাপের উদ্বোধন করেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি পোর্টফলিওকে সৌর মিনি-গ্রিড, ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ, সৌর পানীয় জলের ব্যবস্থা, সোলার রুফটপ ইনস্টলেশন, সোলার অ্যাগ্রো পিভি, সৌর সেচ, বায়ুবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ প্রভৃতি বৈচিত্র্যময় করেছে। ছয় মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘টেকসই উন্নয়ন’ বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়ের। রোডম্যাপের প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে জানান তিনি, বাংলাদেশে ১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডিজেল চালিত সেচ পাম্প এবং ৪৩ লাখের বেশি বৈদ্যুতিক পাম্প গৌণ সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রতি গ্রীষ্মে এক মিলিয়ন টনেরও বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সিদ্দিক জোবায়ের আরও বলেন, এই রোডম্যাপের উদ্দেশ্য হল জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস করা। এছাড়া, সেচের ক্ষেত্রে জিএইচজি নির্গমন এবং সেচ খরচ কমানোও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

সিদ্দিক জোবায়েরের সঞ্চালনায় ও যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, এডিবির কান্ট্রি ডিরেকটর ইডিমন গিনটিং ও ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলন শুরু হয়েছে। চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনে শতাধিক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সম্মেলনে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হতে পারে।

/এএম

Exit mobile version