Site icon Jamuna Television

উগান্ডায় যমজ সন্তানের মা হলেন ৭০ বছর বয়সী নারী

মাতৃত্বের স্বাদ পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে উগান্ডার সাফিনা নামুকাওয়’র। জীবনের ৭০টি বছর পার করে অবশেষে সন্তানের মুখ দেখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মূলত, ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আভিএফ) চিকিৎসা গ্রহণ করে জীবনের পড়ন্তবেলায় তিনি মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন।

উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার একটি হাসপাতালে যমজ সন্তানের জন্ম দেন সাফিনা। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে একটি কন্যা ও এক পুত্র জন্ম নিয়েছে। শিশুদেরকে রাখা হয়েছে ইনকিউবেটরে। তারা ঝুঁকিমুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। তবে এই বয়সে সন্তান গর্ভধারণ ছিল সাফিনার জন্য ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার।

সন্তান জন্মদানের বিষয়ে সাফিনা নামুকাওয়া বলেন, তরুণ বয়সে গর্ভধারণ করতে পারিনি। যাদের লালন-পালন করেছি, তারা কেউই আমার সন্তান না। তারা বড় হয়ে যাওয়ার পর আমি চরম একা হয়ে যাই। সন্তান জন্মদানের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকেই বৃদ্ধ বয়সেও উৎসাহী হই। আমার বিশ্বাস, আল্লাহ আমাকে এই শিশুদের দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, গর্ভবতী থাকাকালে আমার শরীরে কোনো শক্তি ছিল না। কোনো কাজ করতে পারতাম না। আমাকে সাহায্য করার মতোও কেউ ছিল না।

আইভিএফের মাধ্যমে ৭০ বছর বয়সে গর্ভধারণ বেশ ঝুকিপূর্ণ ছিল সাফিনার জন্য। চিকিৎসকদের জন্য এটি সম্ভব করাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে সাফিনার চিকিৎসক আইজ্যাক চেবেত বলেন, এই বয়সে কোনো নারীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু অবশিষ্ট থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমরা দাতা (ডোনার) খুঁজে বের করি। তার শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তাকে পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে ৭৩ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন ভারতের এক নারী। তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সে সন্তান জন্মদানকারী নারী।

/এনকে

Exit mobile version