Site icon Jamuna Television

চলতি মাসেই পাওয়া যাবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি

চলতি মাসেই পাওয়া যাবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ। শতভাগ শর্ত পূরণ না হলেও অর্থ ছাড়ে আশাবাদী সরকার। বলা হচ্ছে, সংস্কার চেষ্টায় ত্রুটি নেই। এদিকে, গেল মাসে সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণে এসে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমএফ মিশন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজস্ব আয়, রিজার্ভ সংরক্ষণ, আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার দরকার। এসব ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি না হলে; আটকে যেতে পারে ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়।

চলতি মাসের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার ছাড় করে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা, আইএমএফ।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মাসেই ছাড় পাওয়ার কথা ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১১ ডিসেম্বর সংস্থাটির বোর্ড সভায় মিলবে অনুমোদন। এক্ষেত্রে পাওয়া যাবে প্রায় ৭০ কোটি ডলার। তবে ঋণের কিস্তি অনুমোদনের আগে শর্ত বাস্তবায়নের সবদিক পর্যবেক্ষণে গেল ৪ অক্টোবর ঢাকায় আসে আইএইএফ মিশন। ১৫ দিন সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কিস্তি’র অর্থ ছাড়ে পাওয়া যায় ইতিবাচক ইঙ্গিত।

জানতে চাইলে এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অবশ্যই আমাদের দ্বিতীয় কিস্তি দেবে। তারা যাওয়ার সময় বলে গেছে আমাদের সার্বিক অর্থনীতির গতিবিধি ভালো।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক ঋণ, জিডিপির চেয়ে বেশি। আর আমরা ৩ টাকায় ঋণী হলে ১ টাকার ঋণে আছি।

ঋণ অনুমোদনের আগে বাংলাদেশকে একগুচ্ছ শর্ত দেয় আইএমএফ। শর্তানুযায়ী, গেল জুনে বাংলাদেশের প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার। কিন্তু তা রাখা যায়নি। এ ছাড়া গেল সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ লক্ষ্য ছিল ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। তাও রাখা সম্ভব হয়নি। সংস্কার উদ্যোগ শুরু হলেও কাঙ্খিত ফল নেই।

অর্থনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ বলেন, ৭ লাখ ইলেক্ট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বসার কথা। সেখানে ১০ হাজারটিও বসেনি। তারমানে এই রিফর্মগুলো সেভাবে এগোচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ফাইনান্সিয়াল ডিসিপ্লিন এনপিএন কমাতে হবে। তিনি আশা করেন আইএমএফের ঋণ কমাতে সমস্যা হবে না।

আইএমএফের শর্ত, কর-জিডিপির অনুপাত ০ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার, রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষতা এবং আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। জ্বালানি পণ্যের দাম সমন্বয়ের শর্তও ছিল।

২ দশমিক ২ শতাংশ সুদে মোট সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ দেবে আইএমএফ।

এটিএম/

Exit mobile version