Site icon Jamuna Television

গাজা ইস্যুতে চাপের মুখে ইউক্রেন

চলমান গাজা ইস্যুতে অনেকটা ধামাচাপা পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পশ্চিমা বিশ্বের মনযোগও ইসরায়েলের দিকে। তাই গত দুবছরের মতো সহায়তা পাচ্ছে না ইউক্রেন। ফলে বেশ চাপে রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।

পশ্চিমা মিত্রদের দৃষ্টি ইউক্রেনের দিকে ঘোরাতে করছেন নানা চেষ্টা। পাশাপাশি ইইউভুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তো রয়েছেই। সেই ধারাবাহিকতায় আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বৈঠক করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সাথে। আলোচনা করেন ইউরোপীয় জোটে প্রবেশের বিষয়ে। তবে কিয়েভের প্রস্তাব শক্তভাবে বিরোধিতা করেন ইউরোপীয় ঐ নেতা। খবর বিবিসির।

আগামী বৃহস্পতিবার রয়েছে জোট নেতাদের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক। কিয়েভের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কিনা, সে ব্যাপারে উঠবে আলোচনা। পাশাপাশি কিয়েভকে প্রায় ৫৪ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারেও একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।

জেলেনস্কি বলেন, ইউরোপীয় জোটভুক্ত হওয়ার জন্য যা যা শর্ত ছিল, সব পূরণ করেছি আমরা। আশা করি, এবার আর কোনো বাধা থাকবে না। সফলভাবেই জোটভুক্ত হতে পারবো।

জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন জেলেনস্কি। আলোচনা করবেন বাইডেন প্রশাসনের সাথে। চেষ্টা করবেন ৬০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ আদায় করে নেয়ার। তবে এই প্যাকেজ নিয়েও রয়েছে জটিলতা।

গত সপ্তাহেও সামরিক প্যাকেজটির বিষয়ে একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয় সিনেটে। আসেনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বিরোধী দল মনে করছে, ইউক্রেনে সহায়তা পাঠানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। আর তাতে প্রয়োজন প্রায় সমপরিমাণ অর্থের। তাই সিনেটে স্থগিত রয়েছে বিলটির অনুমোদন। যদিও কিয়েভকে এই সহায়তা দেয়ার সব চেষ্টা করছেন, এমন দাবি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের।

সব মিলিয়ে, ইউক্রেনের জন্য চলতি সপ্তাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পেলে অনেকটাই চাপমুক্ত হবেন জেলেনস্কি।

/এএম

Exit mobile version