Site icon Jamuna Television

কাশ্মির ইস্যু নিয়ে অমিত শাহ’র মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক

কাশ্মির ইস্যু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আগুনে ঘি ঢাললেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ। পার্লামেন্টের বক্তব্যে অঞ্চলটি অমীমাংসিত থাকার পেছনে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেন তিনি। তার এ মন্তব্যের পর কংগ্রেসের সাথে ক্ষমতাসীনদের তুমুল বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। একে ইতিহাস বিকৃতির সাথে তুলনা করেছেন নেহেরুর উত্তরসুরি রাহুল গান্ধি। খবর এনডিটিভির।

জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যখন তুঙ্গে আলোচনা-সমালোচনা, তখনই দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। কট্টর হিন্দুত্ববাদী এ নেতার দাবি, নেহরুর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের কারণেই বিভক্ত হয় কাশ্মির। সাত দশক পরও যা বিরোধপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বয়ে বেড়াচ্ছে ভারত।

আমিত শাহ বলেন, জওহরলাল নেহরু পাকিস্তানের সাথে অসময়ে যদি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা না দিতেন, তাহলে আজ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের অস্তিত্বও থাকতো না। অনেকেই বলেন, নেহরু না থাকলে আজ কাশ্মির ভারতের হতো না। তাদেরকে বলতে চাই, হায়দ্রাবাদ, যোধপুরের সংকটকালে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন? নেহরু কেবল কাশ্মির নিয়েই কাজ করেছেন। আর সেটিও অসমাপ্ত রেখেই চলে যান।

আমিত শাহ’র এমন বক্তব্যে পরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে পার্লামেন্টে। এবার এই বিতর্কে মুখ খুলেছে নেহরুর উত্তরসুরি রাহুল গান্ধি। আমিত শাহ ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নন বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন এ নেতা।

রাহুল গান্ধি বলেন, পণ্ডিত নেহরু দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। অমিত শাহ ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নন। অবশ্য তার কাছ থেকে এমনটা আশা করাও যায় না। তার ইতিহাস বিকৃত করে পুনরায় লেখার অভ্যাস আছে। এটা আসলে মূল বিষয় থেকে সাধারণ মানুষের মনোযোগ সরিয়ে রাখার চেষ্টা।

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতার আগেই কাশ্মির নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছিল। ব্রিটিশদের ভারত বিভক্তির পরিকল্পনা অনুযায়ী, কাশ্মিরকে ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো রাষ্ট্রের সাথে যোগ দেয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়। তৎকালীন হিন্দু-মুসলিম রাজাদের মধ্যে এ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। যা জন্ম দেয় দুই বছরব্যাপী সংঘাতের। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপেও ৭৫ বছর পরও যেই বিরোধের আসেনি কোনো সমাধান।

এসজেড/

Exit mobile version