Site icon Jamuna Television

ড্র করেও চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় পিএসজি

ছবি: সংগৃহীত

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ এফের শেষ ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নক আউটে পাঁ রাখতো পিএসজি আর হারলেই বিদায়। সম্ভাবনা আর শঙ্কার দোলাচলে মাঠে নেমে আক্রমণের ঝড় তোলে পিএসজি। অসংখ্য সুযোগ নষ্টের পর উল্টো গোল খেয়ে বসে দলটি। সেখান থেকে অবশ্য দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেও অনেকটা নাটকীয়ভাবে নকআউট পর্বের টিকিট কেটেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নিজেদের ঘরের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে পিএসজিকে আতিথ্য জানায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাচের শুরুতেই বিনো-গিটেন্সের ভুলে গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় পিএসজি। তবে সময় গড়াতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে রোমাঞ্চে ঠাসা প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্যভাবে।

দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এর মাঝেই ম্যাচের ৫১ মিনিটে নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। বক্সের পাশে তারা পজিশন হারালে বল ধরে আক্রমণ শাণায় ডর্টমুন্ড। নিকলাসের বাড়ানো পাস পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কাছ থেকে গোলটি করেন জার্মান ফরোয়ার্ড করিম আদেইয়েমি।

পাঁচ মিনিটেই পাল্টা জবাব দেয় পিএসজি। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে এমবাপে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন। প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পা ছুঁয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা।

৬২তম মিনিটে আবারও দোন্নারুম্মার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় পিএসজি। ডাচ ফরোয়ার্ড ডোনিয়েল মালেনের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ৭৫ মিনিটে গতিতে সবাইকে পেছনে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠিয়ে শুরু করেন উল্লাস। কিন্তু, ভিএআরে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।

বাকি সময়ে পিএসজি আর পারেনি তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে। তবে তাদের ভাগ্য খুলে যায় মিলানের ৮৫তম মিনিটের গোলে। সব শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার নানা ধাপ পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

/আরআইএম

Exit mobile version