Site icon Jamuna Television

মূল্য কারসাজি: ক্যাশমেমো বিড়ম্বনায় প্রভাব পড়ছে পণ্য সরবরাহে

নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল কোর্ট। অভিযানে বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, নির্ধারিত দরে পণ্য বিক্রি করছেন না দোকানিরা।

খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা কী দামে পণ্য বেচাকেনা করছেন, তার পাকা রশিদ যাচাই করেন বাজার তদারকি দল। ক্যাশমেমো দেখাতে না পেরে প্রায়ই জরিমানার মুখোমুখি হন খুচরা দোকানিরা। তাদের অভিযোগ, পাইকারি পর্যায়ে নির্ধারিত দরে পণ্য সরবরাহ করা হয় না। তাই কোনো পাকা রশিদও দেয়া হয় না। জরিমানার ভয়ে বাধ্য হয়ে চিনিসহ বেশ কিছু পণ্য সংগ্রহ থেকে বিরত থাকছেন তারা।

একজন খুচরা দোকানি বলেন, আমরা যেখান থেকে পণ্য কিনি, তারা রশিদ বা ক্যাশমেমো দেয় না। তারা বলে, ‘মাল নিলে নাও। না নিলে নাই’। তারা রশিদ দেয় না, তাই আমরা জরিমানার শিকার হই। আরেকজন দোকানি বলেন, রশিদের কথা বললে তো তারা আমাদের কাছে চিনি বিক্রি করবে না। ক্যাশমেমো না পাওয়ায় চিনি বিক্রি করা বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

ক্রেতাদের ঠকাতেই পাকা রশিদ সংগ্রহ করছে না কোনো পক্ষ। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পর্যবেক্ষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, তারা মুনাফার একটি ছক আঁটে। এ কারণেই তারা ক্যাশমেমো রাখে না। আমরা কোনো একটা বিষয়ে যখন অভিযান পরিচালনা করি, তাদের প্রত্যেকটা স্টেক নিয়ে যখন মিটিং করি, তখন শুধু সেখানে ‘ব্লেইম গেম’ চলে।

উৎস থেকে যৌক্তিক মূল্যে পণ্য না পাওয়ার কারণে ভাউচার সংগ্রহে গড়িমসি করছে সব পক্ষ। যার প্রভাব পড়ছে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায়, এমন দাবী ব্যবসায়ী নেতাদের। মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মাওলা বলেন, যে রেট সরকার নির্ধারণ করেছে, সেই রেটে যদি উৎস থেকে পণ্য না পাওয়া যায়, তাহলে মিডলম্যানের পক্ষে কীভাবে সম্ভব সঠিক মেমো দেয়া? পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনার পক্রিয়াটাকে আরও পরিচ্ছন্ন করার ব্যাপারে জোর দেন তিনি।

মিলগেট ও আমদানি পর্যায় থেকে শুরু করে খুচরা পর্যন্ত চার স্তরে পণ্য সরবরাহ এবং দর মনিটরিংয়ের জন্য প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগাতে চায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

/এএম

Exit mobile version