Site icon Jamuna Television

মাত্র ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে চায় মিয়ানমার!

শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র ও শনাক্তকরণ কার্ডধারী রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায় মিয়ানমার। কফি আনান কমিশনের হিসাব আমলে নিলে, এ প্রক্রিয়ায় ফেরত যেতে পারে মাত্র ১৪ হাজার রোহিঙ্গা। গত সপ্তাহে ঢাকায় বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তার আশা, দ্রুতই শুরু হবে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কাজ।

বিভিন্ন হিসাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন প্রায় ১০ লাখ। এর মধ্যে ৫ লাখের বেশি এসেছে গত ২৫ আগস্টের পর। এদের সবাইকেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ চায় সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে। সম্প্রতি দেশটির মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে ঢাকা সফর করলেও তারা অনড় ৯২ সালের চুক্তিতে। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র বা এ ধরণের শনাক্তকরণ কার্ডধারী রোহিঙ্গারাই শুধু এর আওতায় আসবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বর্তমান বাস্তবতা হল, এই জনগোষ্ঠির বেশিরভাগ মানুষেরই কোনো শনাক্তকরণ কার্ড নেই। কারণ বিগত কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদেরকে কোনো ধরনের নাগরিকত্ব কার্ড দেয়নি সেদেশের সরকার।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমার বলছে যদি পালিয়ে আসা লোকজন প্রমাণ করতে পারে যে, তারা রাখাইনের সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা, তাহলে তাদেরকে ফেরত নেয়া হবে। শত হল নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ১৯৯২ সালে কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়েছিল। এখনও সেই একই প্রক্রিয়ায় কিছু লোককে নিতে রাজি মিয়ানমার।

কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত জুন থেকে মিয়ানমারের জাতীয় শনাক্তকরণ কার্ড পেয়েছে মাত্র ১০ হাজার রোহিঙ্গা। আর মাত্র চার হাজারের আছে জাতীয় পরিচয়পত্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ৯২সলের চেয়ে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। নতুন চুক্তির মাধ্যমে সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করবে বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বসে ঠিক করবে কী প্রক্রিয়ায় সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো যায়। গ্রুপটি গঠনে উভয়পক্ষ থেকে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে জানান আসাদুজ্জামান খান। উভয় দেশ বসে গ্রুপের সদস্যের নাম চুড়ান্ত করা হবে।

কবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি তো মনে করি কালকেই হলে ভাল হয়। কিন্তু বাস্তবতার কারণে কতটা সময় লাগবে তা বলতে পারছি না।

মানবিক কারণে আশ্রয় দিলেও রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

/কিউএস

Exit mobile version