Site icon Jamuna Television

৫০ বছর জেল খাটার পর নির্দোষ প্রমাণিত!

খুনের মামলায় জেলে ছিলেন প্রায় ৫০ বছর। তবে ৪৮ বছর এক মাস ১৮ দিন পর মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রমাণ হয় তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ! তাই মুক্তির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভুক্তভোগীকে বিপুল অংকের টাকা প্রদানের নির্দেশ দেয় আদালত।

এমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গ্লিন সিমন্সের সাথে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সিমন্সই এখন নির্দোষ হয়েও সবচেয়ে বেশি সময় কারাভোগ করা ব্যক্তি। ভুল বিচারে সাঁজা পাওয়ায় তাকে ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মুক্তির ওই আদেশের পর গ্লিন সিমন্স কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে। বলেন, বছরের পর বছর এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে; তাতেই আমি খুশি। যা হারিয়েছি তা আর ফেরত পাবো না। তবে, এর সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিৎ।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে কারাবন্দি হন গ্লিন সিমন্স নামের এই মার্কিন নাগরিক। যার বয়স এখন ৭১। ওকলাহোমা সিটির মদের দোকানে ডাকাতির সময়, এক নারীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

প্রথমে মৃত্যুদণ্ড শোনানো হলেও, পরে সাজা কমিয়ে আজীবন কারাদণ্ড দেন সুপ্রিম কোর্ট। ফলে খুনের ওই মামলায় জীবনের প্রায় পুরোটা সময় করেন কারাভোগ। অথচ মঙ্গলবার আদালতের রায় এলো, খুনের সাথে জড়িত-ই ছিলেন না সিমন্স।

তবে, শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন সিমন্স। তার দাবি, ঘটনার সময় লুইসিয়ানায় ছিলেন তিনি। তবে দাবির স্বপক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ পেশ করতে না পারায় এতদিন থাকতে হলো জেলে।

পরে চলতি বছরের জুলাইয়ে, সাঁজা বাতিল হয়। মুক্তি পান সিমন্স। সে সময় আদালত জানান, প্রসিকিউটররা বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের কাছে মামলার পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ তুলে দেননি। ফলে নতুনভাবে শুরু হয় বিচার কাজ। যেখানে, নির্দোষ প্রমাণিত হন সিমন্স।

মূলত, এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষীর জবানবন্দিতে সাঁজা হয়েছিলো সিমন্সের। যদিও, সিমন্স ও তার সহযোগীসহ আরও কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করেছিলো সেই সাক্ষী।

এ বিষয়ে গ্লিন সিমন্সের কৌঁসুলি জো নরউড বলেন, সিমন্সের থেকে ৫০ বছর কেড়ে নেয়া হলো। জীবন উপভোগ আর পরিবার সাজানোর সবচেয়ে সুন্দর সময় ছিলো। অথচ, বিনা অপরাধে তিনি শাস্তি ভোগ করলেন।

/এমএইচ

Exit mobile version