Site icon Jamuna Television

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে কাল ভোরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে খাঁদের কিনারায় টাইগাররা। ফলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছে টাইগার শিবিরে। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে এই ম্যাচ।

তিন দিনের ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজের দু’ম্যাচেই শান্তর দলের পরিণতি এক। ডানেডিন থেকে নেলসন, দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ দল প্রায় একই অভিজ্ঞতা উপহার পেয়েছে কিউইদের থেকে।

ডানেডিনে আগে ব্যাটিং করে হার। নেলসনেও হার। ফলে জোড়া হারের দুঃস্বপ্নের সঙ্গে যোগ হলো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আরও একটি ওয়ানডে সিরিজ হারের হতাশা। এই হতাশা নিয়েই বাংলাদেশ দল পা রেখেছে শেষ ওয়ানডের ভেন্যু নেপিয়ারে।

চার বছর পর এ মাঠে ফিরছে ওয়ানডে ক্রিকেট। ২০১৯ সালে হওয়া সর্বশেষ ম্যাচেও কিউইদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪৪ রানে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৯১ রান করেও হার সাত উইকেটে।

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ধবলধোলাই এড়ানো। হারলে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ষষ্ঠবারের মতো ধবলধোলাই করবে নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে যা সপ্তমবার।

গত ১৫ বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো খুশির দিন আসেনি। ঘুরেফিরে শেষ হাসিটা নিউজিল্যান্ডই হেসেছে। শেষ ম্যাচেও তেমনই প্রত্যাশা রাভীন্দ্রার।

তিনি বলেন, নেলসনে সময়টা ভালো কেটেছে। আশা করছি নেপিয়ারে জয় দিয়েই সিরিজ শেষ করব। শেষ ম্যাচে যদি নিউজিল্যান্ড একাদশে পরিবর্তন হয়ও, কিউইদের আত্মবিশ্বাস বদলাবে না। নিউজিল্যান্ড দলে আমার চেয়েও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা সবাই নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাই। যখনই সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগাতে হবে।

গেল দুই দশকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য নিউজিল্যান্ড। সিরিজে কিউইরা পূর্ণশক্তির হোক কিংবা খর্বশক্তির, জিততে পারেনা টাইগাররা। ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব মাঠের সীমানাই ছোট্ট। তাই হাই স্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা করছেন দু’দলের কোচই।

এদিকে, শেষ ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামতে পারে টাইগাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেলা তানজিম হাসান তামিমের এখনো কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। এনামুল হক বিজয়ের জায়গায় শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ হতে পারে তার।

অন্যদিকে, মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওয়ানডের পর দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশের বাইরে ছিলেন। তবে আগের ম্যাচে স্পিনাররা ভালো করায় উইকেট দেখেই হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

এর আগে, ডানেডিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪৪ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। মাঠে দুইবার বৃষ্টি হানা দিলে ৩০ ওভারের ম্যাচে পরিণত হয় খেলা। টস হেরে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০ ওভারে তোলে ২৩৯ রান। কিন্তু ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৩০ ওভারে বাংলাদেশ লক্ষ্য পায় ২৪৫ রানের। ব্যাট করতে নেমে আদ্র পিচে একের পর এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে ২০০ রানেই অলআউট হয় যায় টাইগাররা।

এরপর নেলসনে দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিকে স্লান করে দিয়ে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজও জয় করে নেয় স্বাগতিকরা। ওই ম্যাচে শচিন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলে এশিয়ান ব্যাটার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস (১৫১ বলে ১৬৯) খেলার রেকর্ড করেন সৌম্য।

/এমএইচ

Exit mobile version