বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে কিউইরা। লাল-সবুজদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এত কম রানে এর আগে কখনোই অলআউট হয়নি তারা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে কখনো ওয়ানডে জেতেনি টাইগাররা। ফলে ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে টাইগারদের সামনেও।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হয় এই ম্যাচ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন টাইগার পেসার তানজিম সাকিব, শরিফুল ও সৌম্যের তাণ্ডবে দিশেহারা নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ৯৮ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বনিম্ন স্কোর, সব মিলিয়ে দেশের মাটিতে এটি তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর।
অন্যদিকে নিজেদের ডেরায় এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে একবারই অলআউট হয়েছিল কিউইরা। সেটাও প্রায় ৭ বছর আগে। ২০১৬ সালে নেলসনে।
ইতিহাস বলছে, এত কম রানের টার্গেটে খেলতে নেমে কখনো হারেনি টাইগাররা। ফলে খুব সহজেই জয় আশা করছে টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে জয় পায়নি লাল-সবুজরা।
তাই এই ম্যাচ জিতলেই ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। যেখানে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তানজিম সাকিব, শরিফুল ও সৌম্য সরকারের নাম। কারণ তারা তিনজন মিলেই যে ধসিয়ে দিয়েছে কিউই ব্যাটারদের।
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই আঘাত হানে তানজিম সাকিব। পাওয়ারপ্লে’র মধ্যেই তুলে নেয় দুই উইকেট। অফ স্ট্যাম্প লাইনে বল করে রাচিন রবীন্দ্রকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৮ রান।
রাচিনকে ফেরানোর পরের ওভার মেডেন, এরপরের ওভারেই ফেরান হেনরি নিকোলসকে। ২২ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের।
এরপরে টপাটপ তিন উইকেট তুলে নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। ২ উইকেট হারানোর পর টম ল্যাথামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়াং। তবে ৩ রানের ব্যবধানে জোড়া আঘাতে দুজনকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান শরিফুল। এরপরের ওভারে আবারও উইকেট পান তিনি। এবার তুলে নেন মার্ক চাপম্যানকে। ততক্ষণে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড।
তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ফেরান টম ব্লান্ডেলকে।
এরপরেই দৃশ্যপটে ঢোকেন সৌম্য। ক্রিজে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে উড়ে যায় ক্লার্কসনের স্টাম্প। যেন কিছুই বুঝতে উঠতে পারেননি তিনি। ১৬ রানে ফেরেন তিনি আর ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১ রানের ব্যবধানে আবারও অ্যাডাম মিলনের উইকেট উপড়ে ফেলেন সৌম্য। এবারও বোল্ড করেন মিলনেকে ফেরত পাঠান সাজঘরে।
৯৭ রানে আবারও উইকেট পান গত ম্যাচে দেড়শ পার করা এই অলরাউন্ডার। এবার ফেরান অদিত্য অশোককে। ১২ বলে ১০ রান করে ফিরে যান তিনি। ফলে ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে শতরান পার করার চেষ্টায় ছিল বিপর্যস্ত কিউইরা।
তবে কিউই শিবিরে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। ফলে দলীয় ৯৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, জয়ের জন্য ব্যাটিংয়ে নেমেছে টাইগাররা। ৯ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৩ রান।
/এমএইচ