Site icon Jamuna Television

অল্প বয়সেই চেপে বসেছে ভুুলে যাওয়ার রোগ? স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কী করবেন?

আজকাল শুধু বার্ধক্যেই নয়, ভুলে যাওয়ার রোগ চেপে বসছে কম বয়সেই। অনেক ক্ষেত্রে তরুণদেরও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে থাকছে না, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ভুলে যাওয়ার মতো ঘটনা এখন খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে বর্তমানের জীবনব্যবস্থা ও প্রযুক্তি নির্ভরতাকে।

এখন মানুষ কোনো কিছু মনে রাখতে মস্তিষ্কের বদলে প্রযুক্তিকেই বেশি ভরসা করে। ফোনে অ্যালার্ম, রিমাইন্ডার সেট করে রাখার মতো অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্ককে অলস করে তুলছে। পাসওয়ার্ডও আগেভাগেই সেভ করে রাখা যাচ্ছে ডিভাইসে, ফলে রীতিমতো অলস হয়ে পড়ছে মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণের ক্ষমতা। এই অলসতা ভেঙে মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। এর জন্য প্রযুক্তি নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু খাবারও বেশ উপকার দেবে।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার হতে পারে আপনার মুশকিল আসান—

নিয়মিত বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন:

বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার ভিটামিন ই- এর ভালো উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে নিয়ম করে খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিলের বীজ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ওটস খান:

ওটসে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। পেটের নানা সমস্যা দূর করে এই খাবার। শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ওটস। নিয়মিত ওটস খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। ওটস শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও সাহায্য করে। ওটসের কুকিজ, কেক, বিস্কুটও খেতে পারেন।

রঙিন সব্জি বেশি করে খান:

টোমেটো, রঙিন আলু, কুমড়ো কিংবা গাজরের মতো সব্জিতে অন্যান্য জরুরি উপাদানের সঙ্গেই থাকে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। এই উপাদানটি স্নায়ু ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষত চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যারোটিনয়েড অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিকাশে রোজ খাবারে শাক রাখার উপরও জোর দেন পুষ্টিবিদেরা।

এসজেড/

Exit mobile version