Site icon Jamuna Television

জলবায়ু সম্মেলনে অবহেলিত অভিযোজন খাত, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ভাগ্যে কী আছে? 

আহমেদ রেজা:

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় অভিযোজন খাতে লক্ষ্যমাত্রার অর্থের প্রতিশ্রুতি মেলেনি। তবে কপ সম্মেলন শেষে এ খাতের প্রধান মিকো অলিকাইনেন মনে করেন, প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হবে। যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অভিযোজন খাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে অগ্রাধিকার পায় বাংলাদেশ।

জলবায়ু অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের জন্য পরিপূর্ণ সহায়তা দরকার অভিযোজন খাতে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে ৩০০ মিলিয়ন অর্থ যোগানের লক্ষ্য ছিল। তবে সেটি পূরণ হয়নি। অভিযোজনের মতো মৌলিক খাতে তহবিল যোগানে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি সরে গিয়েছে কিনা তা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সাথে কথা বলেন অভিযোজন খাতের প্রধান মিকো অলিকাইনেন।

মিকো অলিকাইনেন বলেন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল আমরা সমর্থন করি। তবে অভিযোজন খাতে অর্থ দরকার। আমার মনে হয়, এবারের সম্মেলনে অভিযোজন খাত কম গুরুত্ব পেয়েছে। বিষয়টি যেন সাময়িক সময়ের জন্য হয়। আশা করছি, উন্নত দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন ও প্রশমন রক্ষায় এই তহবিলে অর্থ বাড়াবে।

প্রশ্ন ছিল, কেনো মিললো না লক্ষ্যমাত্রার অর্থ? তাহলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ভাগ্যে কী আছে? জবাবে সংস্থার প্রধান জানান, এই খাতের অর্থ সহায়তা চলমান। প্রয়োজনেই মিলবে উন্নত দেশগুলো থেকে।

মিকো অলিকাইনেন বলেন, অর্থ যোগানের কার্যক্রম বছর জুড়েই চলবে। ৪২০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহয়তা প্রয়োজন হলেও এবারের কপে ৩০০ মিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে বছর জুড়ে চলমান থাকা কার্যক্রমে লক্ষমাত্রা পূরণ হবে বলে তিনি মনে করেন।

অভিযোজন খাতের অর্থ সহায়তায় বাংলাদেশের সাথে প্রকল্প রয়েছে বলেও জানান মিকো। তিনি বলেন, অভিযোজন খাতের অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বরাবরই প্রাধান্য পায়। আমরা বাংলাদেশের ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান বাস্তবায়নে সহায়তা করে থাকি। অংশীদার হিসেবে এই কার্যক্রম আরও বেগবান করতে চাই।

আগামী বছরই বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে মিকোর। সেটি হলে বাংলাদেশের সাথে এই খাতের কার্যক্রম আরও বাড়বে।

এসজেড/

Exit mobile version