Site icon Jamuna Television

ইশতেহারের আগে তরুণদের মুখোমুখি শেখ হাসিনা, শুনলেন মতামত-পরামর্শ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। দলটির অন্যান্য বারের ইশতেহারের মতো এবারও তরুণদের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণদের ভাবনা ও তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো জানতে সরাসরি বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে তরুণদের কথা শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণ সংগঠক ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে যাওয়া তরুণদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাদের বিভিন্ন পরামর্শও শুনেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

প্রধানমন্ত্রী এর আগেও তরুণদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। সরাসরি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। এবারও তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি তিনি জেনেছেন, বর্তমান প্রজন্মের এই প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশ গঠনে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয় এই অনুষ্ঠানে।

লেটস টক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় তরুণরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই আলোচনার পর তারাও নিজেদেরকে দেশের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের অংশ হিসেবে মনে করছেন। তারা বিশ্বাস করেন, সামনে ইশতেহার ঘোষণায় তাদের দেয়া পরামর্শগুলো বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে দেশ গঠনে কাজ করে যাওয়া ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য সুনাম নিয়ে আসা প্রায় ৩০০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু থেকে শুরু করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন এবং সেখানে তরুণদের ভূমিকা কী হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

নারীর নিরাপত্তা, নারী ক্ষমতায়নে তাদের কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা ও আমাদের করণীয় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তরুণদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার, নারীর অধিকার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে এই গোষ্ঠীগুলোর উন্নয়নে সামনে সরকার আরও কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে তরুণদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মধ্য থেকে অনেকের মধ্যেই আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা দেখতে পাচ্ছি। আশা করি এখান থেকেই কেউ একজন হবেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে লেটস টক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের এই আয়োজনটি আগামী সপ্তাহে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানান আয়োজকরা। সেখানেই জানা যাবে তরুণদের এ সকল প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানা যাবে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার অনেক অজানা বিষয়ক তথ্য। অনুষ্ঠানটি কবে সম্প্রচার হবে এ বিষয়ে জানতে সিআরআই ও ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে চোখ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আয়োজকেরা।

এসজেড/

Exit mobile version