Site icon Jamuna Television

নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এলো ইরানের হাতে, পাড়ি দেবে ১ হাজার কিলোমিটার!

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে যখন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে, তখন নতুন ক্রুজ মিসাইল যোগ হলো ইরানের নৌবাহিনীর ভাণ্ডারে। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্থিতিশীল লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের পরই নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়িয়ে শত্রুদের কড়া বার্তা দিলো তেহরান।

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাজছে যুদ্ধের দামামা, এরমধ্যেই নিজেদের নৌবাহিনীর সামরিক সক্ষমতা বাড়ালো ইরান। বাহিনীটির ভান্ডারে রোববার যুক্ত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনসহ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নানা সমরাস্ত্র।

এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে অবশ্য আলাদা নজর কেড়েছে তালায়েহ নামের এই কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। অর্থাৎ ইরানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছোড়া হলে এটি ইসরায়েলেও আঘাত হানতে পারবে।

তেহরানের দাবি, নিক্ষেপ করার পর, মিশনের মাঝপথেও এই স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম। দেশটির সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের কোনারাক বন্দরের নৌ ঘাঁটির কর্মকর্তাদের কাছে নতুন এই মিসাইল হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরাম ইরানি বলেন, এই মিসাইলের আকাশে থাকা অবস্থায় গতিপথ পরিবর্তন করে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার সক্ষমতা রয়েছে। জটিল রুট প্লানের মাধ্যমে শত্রুকে সর্বোচ্চ চমকে দিতেও পারে এটি।

গাজায় ইহুদি আগ্রাসনের উত্তাপ এখন লোহিত সাগরেও। ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এই রুটে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। অবস্থা বেগতিক হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র বহুজাতিক টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পাশাপাশি এসব হামলায় ইরানের ইন্ধনের অভিযোগও তুলেছে ওয়াশিংটন। বিশ্লেষকদের মত, সরাসরি সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও, নৌবাহিনীর সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে শত্রুদের কড়া বার্তা দিলো তেহরান।

দীর্ঘদিন ধরেই, নিজস্ব প্রযুক্তিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন তৈরি করে শত্রুদের হুমকি-হুঁশিয়ারি দেয়ার পাশাপাশি সমরাস্ত্র শিল্পে নিজেদের উত্থানের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে ইরান। দেশটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগও তুলে আসছে পশ্চিমারা।

এটিএম/

Exit mobile version