Site icon Jamuna Television

ফ্রান্সে ক্যান্সার আক্রান্ত ভোলার তরুণ, দেশে পৌঁছে দিয়ে গেলেন ফরাসি চিকিৎসক

ইব্রাহীমের সাথে ডা. ম্যাথিউ

উচ্চশিক্ষার জন্য ফ্রান্সে পাড়ি জমিয়েছিলেন ভোলার চরফ্যাশনের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহীম। অনেক কষ্টে ধারকর্য করে তাকে বিদেশ পাঠান বাবা-মা। কিন্তু সেখানে গিয়ে ৭ মাস পর ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার।

ফ্রান্সেই শুরু হয় চিকিৎসা। এক বছর চিকিৎসাধীন ছিলেন ড. ম্যাথিউ জামেলট-এর অধীনে। দিন দিন অবস্থার অবনতি হওয়ায় দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ছিল না একা ফিরে আসার মতো শারীরিক অবস্থা। তাই সহায়তার হাত বাড়ান ফরাসি চিকিৎসক ড. ম্যাথিউ জামেলট। সুদূর ফ্রান্স থেকে ইব্রাহীমকে নিয়ে আসেন বাংলাদেশে।

গত ২০ ডিসেম্বর পরিবারের কাছে ইব্রাহীমকে হস্তান্তর করে ফিরে যান ড. ম্যাথিউ। একরাশ বিশাদ নিয়ে ইব্রাহীম ফেরেন তার জন্মভূমিতে। স্বজনহীন মুমূর্ষু ইব্রাহীমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই চিকিৎসক।

তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইব্রাহীম বলেন, প্যারিসে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। একা এতটা পথ আসার মতো আমার শক্তি ছিল না। স্যার ম্যাথিউ জামেলটকে স্যালুট জানাই। তিনি এতটা পথ পাড়ি দিয়ে আমার সাথে এসেছেন।

লিভার ক্যান্সারের শেষ স্তরে অবস্থান করছেন ইব্রাহীম। তার লেখাপড়া, বিদেশযাত্রা আর চিকিৎসার জন্য বিপুল দেনায় ডুবেছে পরিবার। ধার করা প্রায় ৩০ লাখ টাকার দুশ্চিন্তা সাথে রোগাক্রান্ত ইব্রাহীমের শারীরিক অবস্থায় মুষড়ে পড়েছে সবাই।

তার বাবা বলেন, ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। উচ্চশিক্ষা নিয়ে একদিন বড় হবে। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো। ধারদেনায় শেষ হয়ে গেছি আমরা।

তবে ইব্রাহীমের চিকিৎসার জন্য সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জেলা সমাজসেবা অধিদফতর। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ক্যান্সারসহ ছয়টি দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের সহযোগিতা করে সমাজসেবা অধিদফতর। তার পরিবার যদি আবেদন করে তাহলে নিশ্চয় আমরা আর্থিক সহযোগিতা করবো।

/এনকে

Exit mobile version