Site icon Jamuna Television

সাতক্ষীরায় প্রকৃত আসামির বদলে ‘নির্দোষ’ নারীকে কারাগারে প্রেরণের অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার তালায় পুলিশের এসআই মামুনের বিরুদ্ধে এক আসামীর পরিবর্তে অন্য নারীকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। টানা চারদিন কারাগারে ছিলেন ওই নারী। তার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও পুলিশের ইনফরমার শামীম খানের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন ওই নারী।

জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর উপজেলার বারুইআটি গ্রামে একটি চেক প্রতরণা মামলায় রুহী আকতার স্মৃতি নামে ওই নারীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তালা থানার এসআই মামুন। গ্রেফতারের পর রুহী আকতার স্মৃতিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর চারদিন পর আজ বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) কারাগারে থাকা রুহীর স্বজনরা তাকে সাতক্ষীরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে। মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, ওই মামলার প্রকৃত আসামি তালা উপজেলার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার। তিনি বারুইহাটি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় এসআই মামুন বলেন, গ্রেফতার করার সময় বা থানায় এসে তাদের পরিবারের কেউই বলেনি, ওই নারী সেই আসামি নয়। তালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও এসেছিলেন। তিনিও বলেননি ওই নারী প্রকৃত আসামি নন। এ সময় ইনফরমার শামীম খানের সহায়তায় গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

গ্রেফতারকৃত নারীর শ্বশুর আব্দুল কাদের মালী জানান, বার বার বলেছি পুলিশকে, আমরা কোনো এনজিও থেকে লোন নেইনি। আর এই আসামিও সেই আসামি নয়। কিন্তু এরপরও তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, নির্দোষ হয়েও ৪ দিন সে জেল খেটেছে।

এদিকে, মামলার বাদী বেসরকারি এনজিও সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের তালা শাখার ম্যানেজার সৈয়দ ইমারন আলী বলেন, আমি মাত্র এক মাস আগে এই শাখায় যোগদান করেছি। কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

এ ঘটনায় তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, দুটি চেক প্রতারণার মামলায় ওই নারীকে আটক করা হয়। চেয়ারম্যান জাকিরও থানায় এসেছিল। ঘটনাটি আমরা জানার পর বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

এসজেড/

Exit mobile version