যেভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলকে হতভম্ব করেছে হামাস, তা ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্বকে। প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে এখন শঙ্কায় দক্ষিণ কোরিয়াও। পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সিউলের উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। তাই কিম জং উনের দেশও যদি হামাসের মতো একই পন্থায় হামলা চালায়, তবে তা প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিভিন্ন বাহিনীকে একসাথে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দেশটি। খবর রয়টার্সের।
হুবহু হামাসের হামলার আদলে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। ভারী অস্ত্র হাতে সশস্ত্র গেরিলারা হঠাৎ প্রবেশ করেছে শহরে, চালাচ্ছে এলোপাতারি গুলি। ঠিক যেভাবে ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালিয়ে গোটা ইহুদি রাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা, সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে প্রশিক্ষণে।
হামাসের নজিরবিহীন হামলা মোকাবেলায় ইসরায়েলের ব্যর্থতা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দক্ষিণ কোরিয়াকেও। প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সাথে তাদের বৈরি সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে ব্যাপক সেনা ও অস্ত্র গোলাবারুদের উপস্থিতি বাড়িয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে পিয়ংইয়ং।
নিয়মিত বিরতিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিলেও এখনও কোনো দেশে হামলা চালায়নি কিম জং উনের দেশ। তবে হামাসের সফলতা দেখে একই পন্থা অবলম্বন করতে পারে উত্তর কোরিয়া, এমন আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সিউল। রাজধানীতে চালাচ্ছে মহড়া। বিরল এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং জরুরি বিভাগের অন্তত এক হাজার সদস্য।
দক্ষিণ কোরিয়ার লেফট্যানেন্ট কর্নেল পার্ক হ্যান-কিউ বলেন, উত্তর কোরিয়ার উস্কানি ও সন্ত্রাসী হুমকি থেকে আমাদের জনগণের জীবন রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছি। এই মহড়ার সময় নিজেদের দক্ষতা ভাগ করে নিচ্ছি আমরা।
সিউলের মেয়র ওহ সি হুন জানান, হামাসের আকস্মিক হামলায় প্রচলিত কামান আর পুরোনো প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্রের কাছে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে অসহায় হয়ে পড়েছিল, তা আমাদের জন্য বড় ধরনের শিক্ষা। উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। তাদের সে উস্কানি মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে আমাদের।
উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিউল। রাজধানীতে এমন আকস্মিক হামলা হলে কীভাবে দেশের নাগরিক এবং স্থাপনা রক্ষা করতে হবে দেয়া হচ্ছে সেই প্রশিক্ষণ।
এসজেড/

