Site icon Jamuna Television

ফের আলোচনায় ইসরায়েলের গুপ্তহত্যা, কতটা ভয়ঙ্কর এই পন্থা?

হামাসের শীর্ষ প্রধানকে হত্যার পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার কৌশল। গত কয়েক দশকে ভিনদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি গুপ্তহত্যা ঘটিয়েছে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিরাই তেল আবিবের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছে বেশি। অবৈধ দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে হামাসের কয়েক ডজন নেতাকে হত্যা করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি। বিভিন্ন দেশে চালিয়েছে কিলিং মিশন। খবর আল জাজিরার।

১৯৫৬ সালে মিসরের দুই সামরিক কর্মকর্তা মুস্তাফা হাফিজ ও সালাহ মুস্তফাকে পার্সেল বোমা পাঠিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। ধারণা করা হয়, এ দু’জনই তেল আবিবের টার্গেট কিলিংয়ের প্রথম শিকার। সেই থেকেই শুরু, এরপর অবৈধ দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখতে আরও অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে দেশটি। যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।

হামাস নেতা সালেহ আল-আরৌরির মৃত্যুর পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইসরায়েলের শত্রুকে শেষ করার কুখ্যাত এই পন্থা। এর আগেও হামাসের বহু প্রভাবশালী নেতা তেল আবিবের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০০৪ সালে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে মিসাইল ছুড়ে হত্যা করা হয় সংগঠনটির দুই প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন ও আব্দুল আজিজ আল রান্তিসিকে।

৯৬ সালে ইসরায়েলের গুপ্ত হামলায় প্রাণ গেছে আলোচিত হামাস নেতা বোমা তৈরির ইঞ্জিনিয়ার ইয়াহইয়া আয়াশের। ২০০২ সালে কাশেম ব্রিগেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সালাহ শাহাদিকে হত্যা করে দেশটি। হামাসের সামরিক শাখার আরেক শীর্ষ নেতা আদনান আল ঘৌলও ২০০৪ সালে শিকার হয়েছেন তেলআবিবের টার্গেট কিলিংয়ের। এ তালিকায় আছে আরও হাজার মুক্তকামী ফিলিস্তিনির নাম।

গাজাতে তো বটেই বিভিন্ন দেশে অপারেশন চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে তেল আবিব। এমনকি তাদের গুপ্তহত্যা থেকে রেহাই পায়নি হিজবুল্লাহর নেতারাও। সংগঠনটির সাবেক প্রধান সায়েদ আব্বাস আল মোসাউইকেও তার দেশ লেবাননেই হত্যা করেছে ইসরায়েল।

অবশ্য ভাগ্যবান দু-একজন প্রাণেও বেঁচেছেন। জর্ডানে বিষ প্রয়োগে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান খালেদ মেশালকে। কাশেম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বেশ কয়েকবারই ইসরায়েলি গুপ্ত হামলার শিকার হয়েও বেঁচে আছেন।

এসজেড/

Exit mobile version