Site icon Jamuna Television

ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ, নির্বাচন উৎসবমুখর করার অঙ্গীকার নেতাকর্মীদের

নির্বাচনকে স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশের ৪২ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিতে কাজ করছে সংগঠনটির ১০ লাখের ওপর নেতাকর্মী। এছাড়া ভোটের পর দ্রুততম সময়ে যোগ্যদের নিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি ঘোষণা করা হবে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে ভোট কেন্দ্রীক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। রাজপথ দখলে রাখার পাশাপাশি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে ধারাবাহিক কর্মসূচিও পালন করছে তারা।

সংগঠনটির বর্তমান নেতৃবৃন্দ জানান, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনায় নেতিবাচক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমেছে। নির্বাচনকে সফল ও উৎসবমুখর করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও পরিকল্পনা সামনে নিয়ে এগুচ্ছে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে সারাদেশে কেন্দ্রভিত্তিক ছাত্রলীগের ৪৩ হাজার টিমের অন্তত ১০ লাখ নেতাকর্মী কাজ করছে। তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত বলেন, আমি মনে করি আমাদের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটেছে। এর পাশাপাশি রিকশা ভাড়া নির্ধারণ, ক্যান্টিনে খাবারের মান নির্ধারণে কাজ করেছি। সেই সাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের হলে কিছু বাড়তি ফি ছিল। সেগুলো নিরসনেও আমরা কাজ করেছি।

বির্তক প্রতিযোগিতা, ক্যারিয়ার ফেস্ট অথবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো আয়োজনে বছরব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রলীগের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বাড়িয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের। নির্বাচনের পরই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ঘোষণার পরিকল্পনাও আছে সংগঠনটির নেতাদের।

শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, নির্বাচনের পর দ্রুততম সময়ে আমাদের কমিটি গঠনের যে প্রক্রিয়া হাতে নেয়া রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করে অন্যান্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকে সাংগঠনিক গতিশীলতা প্রদান করতে আমরা চেষ্টা করবো।

নির্বাচনে কর্মীদের ভূমিকা অনুযায়ী পদ-পদবির ক্ষেত্রে তাদের মূল্যায়ণ করা হবে উল্লেখ করে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, এই নির্বাচনে ছাত্রলীগ কর্মীদের ভূমিকাকে আমরা মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করছি। কর্মীদের মেধা ও তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী তাদের যথাযোগ্য পদ দেয়া হবে। নির্বাচনের পর আমাদের লক্ষ্য থাকবে কমিটি ঘোষণার পরই আমাদের হল কমিটিগুলো নিয়ে কাজ করা।

নির্বাচনে কেবল ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত নয়, ভোটের পর দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতেও কাজ করবে ছাত্রলীগ এমন আশ্বাস সংগঠনটির নেতাদের।

এসজেড/

Exit mobile version