Site icon Jamuna Television

দোহারে শিশুদের দিয়ে জালভোট দেয়ার অভিযোগ, অস্বীকার প্রিজাইডিং কর্মকর্তার

ঢাকা-১ আসনের দোহারে শিশুদের দিয়ে ভোট দেয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে আজ সকালে শাহিনপুকুরের একটি ভোট কেন্দ্রে এমন দৃশ্য ধরা পড়েছে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরায়। ক্যামেরা দেখেই দৌড়ে পালিয়ে যায় কয়েকজন জাল ভোটার।

আজ ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকেই সারাদেশের মতো দোহারের শাহিনপুকুরের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে কেন্দ্রটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোট প্রদানের বয়স না হলেও অনেক শিশু ঢুকছে কেন্দ্রের ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত ঘরে। সেখানে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দেখা যায়নি। অনেক জাল ভোটার কেন্দ্রটিতে ভোট দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

তবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করেণ। ভোট কক্ষে একজন করে প্রবেশ করানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন এই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোট কক্ষে অবস্থান করছেন একাধিক ‘ভোটার’।

এর আগে, এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলামের দুই সমর্থককে বেধড়ক মারধর করে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ ওঠে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দোহারের মুকসুদপুরের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করবেন সেসব পোলিং এজেন্টদের থাকা ও খাওয়া খরচ নিয়ে লাঙ্গলের এই দুই কর্মী বাংলাবাজার থেকে ফুলতলায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই দু’জনকে বেদম মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন আর সাথে থাকা খরচের টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে মুকসুদপুরের এক ফাঁড়িতে তাদের বিরুদ্ধে ভোট কেনার টাকা বিতরণের অভিযোগ করে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ ও তার সমর্থকরা।

পরে, ম্যাজিস্ট্রেট উল্টো নির্যাতিত ভুক্তভোগীদের পুলিশ হেফাজতে দিয়ে দেয়। অবশ্য পরে লাঙ্গলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মুক্তি দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

এসজেড/

Exit mobile version