Site icon Jamuna Television

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ডলি সায়ন্তনীর

অনিয়ম, জাল ভোটের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন পাবনা-২ আসনের নোঙর প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী। পরে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) এ প্রার্থী।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি নিজের হাতে কয়েকটা ধরেছি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এরপর ভোট বর্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফোর্স পাঠানোর আগেই সটকে পড়েন তারা। একেকটা কেন্দ্রে আমার থাকার সময় খুবই অল্প। এর মধ্যেই যদি আমি এসব দেখতে পাই, তাহলে আমি কেন্দ্র থেকে সরে আসলে তখন কী অবস্থা হয়? একচেটিয়া নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।

ডলি সায়ন্তনী জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তা দেখে নৌকার লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নৌকার পোলিং এজেন্ট ও বাইরের সমর্থকরা ব্যালট পেপার নিয়ে জোর করে নৌকায় সিল মারতে থাকেন।

এর আগে, ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডলি সায়ন্তনী নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অভিযোগ করে বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সংবলিত কাগজ দেওয়া হচ্ছে। ভোটাররা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। জোর করে ভোট কেটে নেয়া হয়েছে। নোঙ্গর মার্কার এজেন্ট বের করে দিয়েছে।

এসব ঘটনার অনেক ফুটেজ মোবাইলে ধারণ করেন বলে জানান স্বতন্ত্র এ প্রার্থী। তিনি এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

পাবনা-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে তিনি কোনো অভিযোগ দেননি। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়নি। উনি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।

/এএম

Exit mobile version