Site icon Jamuna Television

ভোটযুদ্ধে জিতে যা বললেন মাশরাফী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাশরাফী মোর্ত্তজা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। সাবেক এই অধিনায়ক পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১ ভোট।

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে জয়ের পর সাংবাদিকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফী বলেন, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সবাই সবার জায়গা থেকে সেরাটা দিলে আগামীতে অবশ্যই ভালো কিছু হবে। ৫ বছর ধরে চলা উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে চাই।

২০১৮ কিংবা ২০২৪ নির্বাচনে চাপ নেয়া প্রসঙ্গে মাশরাফী বলেন, তিনি কোনদিন চাপ নেননি। কারণ, নির্বাচন তার একার সিদ্ধান্তের বিষয় নয়।

তিনি বিশ্বাস করেন, বিগত ৫ বছর অনেক কাজ করেছেন এবং কাজে সৎ ছিলেন। তিনি তার সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বাকিটা মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার ওপর।

তিনি আরও বলেন, কঠিন সময়ে পাশে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষকরে, করোনা মহামারীর সময়টা।

অসমাপ্ত কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে অনেক শীত। সকাল ৮টা থেকে অনেক মুরুব্বী মানুষ ভোট দিয়ে এসেছেন। উনাদের জন্য অনেক কিছু করার আছে। সকালে যখন তিনি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান, তখন দেখেছেন ভোট দিতে সকল-সকাল মুরুব্বীরা উপস্থিত। এই দৃশ্য তাকে অনুপ্রানিত করেছে, ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার।

পুনরায় নির্বাচিত হবার পর দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফী জোর দিয়ে বলেন, তিনি প্রথম থেকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। সুতরাং যে দায়িত্বই আসুক, তিনি প্রস্তুত।

নড়াইলে ক্রীড়াঙ্গন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খেলাধূলা নিয়ে কাজ চলছে। আরেকটু বড় পরিসরে করার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জিনিসগুলোকে গুছিয়ে নিয়ে করা দরকার। খেলোয়াড়দের ১২, ১৩ এবং ১৪ বছর থেকেই ভালভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক বিকাশ সর্বোত্তম পর্যায়ে নিয়ে যেতে কাজ করছেন তিনি। এরপর ১৭ কিংবা ১৮ বছর বয়সে ওই খেলোয়াড়গুলো যাতে নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিতে পারে, সেটাই তার লক্ষ্য।

নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হবার পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নড়াইলবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি মাশরাফী। পোস্টে লিখেন, ‘নতুন ভোরের আলোয় আলোকিত হবে নড়াইল। আপনারা আমার সাথে ছিলেন বলে আমি আবারও আপনাদের সাথে থাকার সুযোগ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি, আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক…

\এআই/

Exit mobile version