Site icon Jamuna Television

মাশরাফীর পর যে কীর্তি গড়লেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

২২ গজ থেকে রাজনীতির ময়দান! দু’টি দু’রকম জায়গা, তবে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখরে থাকা উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা প্রায়ই পা বাড়ান রাজনীতির পিচ্ছিল জগতে। প্রাক্তন অধিনায়ক, বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক থেকে বরেণ্য ক্রিকেটার সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয় এই ভূখন্ডে।

তবে রানিং ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম ছক্কাটা মারেন মাশরাফী বিন মোর্তজা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে নড়াইল থেকে নির্বাচিত হন তিনি। এবারও বিপুল ভোটে জিতেছেন এলাকায় দারুণ জনপ্রিয় মাশরাফী। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন সাকিব আল হাসান। এবার বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাগুরা-১ আসন থেকে বড় ব্যবধানের জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদে বসতে যাচ্ছেন। আরেক সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের পর বিকেএসপির দ্বিতীয় ছাত্র হিসেবে সাকিব হলেন সংসদ সদস্য।

বাংলাদেশে ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসার সংস্কৃতি নতুন, তবে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে ভারত আর পাকিস্তানে বহু ক্রিকেটারই সংসদে বসেছেন, নির্বাচনে লড়েছেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে পাকিস্তানের ৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। অবসরে যাওয়ার পর ইমরান খান নিজের রাজনৈতিক দল তেহেরিক ই-ইনসাফ খুলেছিলেন। রাজনীতির মারপ্যাচে জেলেও গিয়েছেন। হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। দেশটির সাবেক ওপেনার আমির সোহেল ও ফার্স্ট বোলার সরফরাজ নাওয়াজরাও রাজনীতিরি ময়দানে বেশ সফল।

এই তালিকায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি আসবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম। মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে বিনোদ কাম্বলি কিংবা গৌতম গম্ভীররা বেশ আগ থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, নভোজিৎ সিং সিধু- এরা সবাই রাজনীতিতেও সফল। তবে দু’বার নির্বাচন করেও পরাজিত হয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদি।

শ্রীলঙ্কাকে ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জেতানো অর্জুনা রানাতুঙ্গা ২০০১ সালে রাজনীতিতে নাম লেখান। এখন পর্যন্ত ৩/৪টি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কাজও করেছেন দারুণ সাহসী এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।

শ্রীলঙ্কার আরেক সাবেক অধিনায়ক সনাথ জয়সুরিয়া ২০১০ সালে জাতীয় নির্বাচনে নিজ শহর মাতারা থেকে নির্বাচিত হন। তিনিও মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ইতিমধ্যে। দেশটির বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হাসান তিলকারত্নেরও পরিচয় এখন রাজনীতিবিদ।

/আরআইএম

Exit mobile version