Site icon Jamuna Television

কে পাচ্ছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার?

ছয় বিভাগে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলেও বরাবরই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু শান্তি পুরস্কার নিয়ে। চলতি বছর এই পুরস্কারের জন্য শুরু থেকেই আলোচনার শীর্ষে রোহিঙ্গা ইস্যু। সংকট মোকাবেলায় জড়িত সংগঠন এবং ব্যক্তিদের নামই উচ্চারিত হচ্ছে বিজয়ী হওয়ার দৌঁড়ে। আলোচনায় আছে আন্ত:কোরীয় শান্তি আলোচনাও।

গেল বছর বিশ্বজুড়ে আলোচিত রোহিঙ্গা ইস্যু। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমেই স্থান পায় বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে ঠাইঁ পাওয়া রোহিঙ্গাদের খবর।

গেল বছর আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। গণমাধ্যম এবং ব্রিটিশ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান- ল্যাডব্রকসের জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে বিবেচিত ঘটনাগুলোর তালিকার শীর্ষে রোহিঙ্গা ইস্যু ।

এক দশকের বেশি সময় ধরে নোবেল বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা ব্রিটিশ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান- ল্যাডব্রকস বলছে, ধারাবাহিকতা অনুসারে এবার নোবেল পাওয়ার কথা কোনো ব্যক্তির। আলোচনায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএইচসিআরের নামও উঠে আসছে।

তবে, একটুর জন্য যুদ্ধ থেকে কোরীয় উপদ্বীপকে বাঁচিয়ে দেয়া, আন্ত:কোরীয় শান্তি আলোচনাও, এগিয়ে নোবেল প্রাপ্তির দৌঁড়ে। ৬ দশক পর শুরু হওয়া এই আলোচনার ফলে শান্তির সুবাতাস বইছে উপদ্বীপে। তাই দুই কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং মুন জে ইন যৌথ ভাবে নোবেল পেলেও; থাকবে না চমক।

দীর্ঘ তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও। আছেন অভিবাসন সঙ্কট মোকাবেলায় মানবিক পদক্ষেপের জন্য ফেভারিটের তকমা পাওয়া জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, পোপ ফ্রান্সিসের মতো ব্যক্তিত্বরা। এছাড়া আছে, ডব্লিউএফপি, হোয়াইট হেলমেটসহ স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংস্থার নাম।

এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে তালিকায় স্থান পেয়েছে ৩৩১ প্রার্থী। যার মধ্যে ২১৬ জন ব্যক্তি এবং ১১৫টি প্রতিষ্ঠান। যা নোবেল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

Exit mobile version