Site icon Jamuna Television

তিস্তার পানি ছেড়েছে ভারত, বাংলাদেশের পাশাপাশি শঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গও

সুকুমার চট্টপাধ্যায়, কলকাতা:

ভারত বিপুল পরিমাণ পানি তিস্তায় ছাড়ার কারণে বাংলাদেশের পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশটির পশ্চিমবঙ্গেও। এরই মধ্যে নদীপাড়ের মানুষদের সতর্ক করে চলছে মাইকিং। পরিস্থিতি সামলাতে জেলা প্রশাসনও প্রস্তুত।

কোনোরকম আগাম সতর্কতা ছাড়াই দার্জিলিংয়ে সেবকের কালিঝোড়া ড্যাম থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ব্যাপক পরিমাণ পানি ছেড়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দপ্তর। ফলে পানির চাপ সামলাতে খুলে দেয়া হয়েছে গজলডোবার ব্যারেজের লকগেট গুলো। সোমবার এক সেঙ্গ প্রায় ৪ হাজার কিউমেক বা ১ লাখ ৪১ হাজার ২৫৮ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে শীতের মৌসুমে বরফ গলা পানিতে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা থেকেই বিপুল পরিমাণ এই পানি ছাড়া হয়েছে। এখনও বিপুল পরিমাণ পানি ছাড়ছে ভারত। যদিও ঠিক কী কারনে এত পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি রাজ্য সেচ দপ্তর।

পানি ছাড়ার বিষয়ে বিশদ তথ্য পেতে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফ্লাড কন্ট্রোল সেন্টারে বারবার ফোন করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি। শীতের মৌসুমে এত বিরাট পরিমাণ পানি ছাড়ার ঘটনা কার্যত বিরল। এতে অকাল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের তিস্তার বিস্তীর্ণ অংশে।

যদিও পানি ছাড়ার তথ্য স্বীকার করে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানান, সোমবার বিকেল ৪টার পর সেবকের কালিঝোড়া থেকে আচমকাই প্রায়‌ পাঁচ হাজার কিউমেক‌ পানি‌ ছাড়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরফলে জলপাইগুড়ি ও মেখলিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় তিস্তার পানিস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিস্তায় বন্যার আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা সদরের মহকুমাশাসক তমজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তার জন্য আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছি। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।

এসজেড/

Exit mobile version