Site icon Jamuna Television

মিত্রবাহিনীকে ইরাক ছাড়তে হবে: শিয়া আল সুদানি

বাগদাদে সেনা দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজের সময় বিজয় আর্চের নিচে সাঁজোয়া যান নিয়ে যাচ্ছে ইরাকি সেনারা। ছবি: এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যে যখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছিলো জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস), তখন বিভিন্ন দেশকে নিয়ে বহুজাতিক মিত্রবাহিনী গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি নির্মূলের নামে মিত্র বাহিনীর অংশ হিসেবে ইরাক ও সিরিয়ার একাংশে নিজেদের সেনা মোতায়েন করে ওয়াশিংটন।

২০১৭ সালেই আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার দাবি ইরাকের। বেশিরভাগ এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়েছে গোষ্ঠীটির সদস্যরা। এরপর প্রায় সাত বছর পেরিয়ে গেলেও দেশ দুটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে সম্প্রতি ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। নিয়মিত বিরতিতেই হামলা হচ্ছে ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলায় বেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ইরাক। এমন পরিস্থিতিতে চুক্তি মেনে দ্রুতই নিজ দেশে চলে যাবে মার্কিন সেনারা আশা দেশটির সরকারের।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি বলেন, আমাদের আগের সরকার আন্তর্জাতিক জোটকে ইরাকের ভূমিতে ডেকে এনেছিলো। গোটা ইরাকের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণের কোনো যুক্তি নেই। এটি ইরাকের ভূমি। কাজেই আন্তর্জাতিক জোটের উপস্থিতি বিব্রতকর। ইরাক এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা অভ্যন্তরীণ বা বিদেশি কোনো পক্ষের লক্ষ্য যেন না হয়।

প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল সুদানির দাবি, আইএসকে প্রতিহতের লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় এখন আর বিদেশি সেনাদের ইরাকে অবস্থানের কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের মিশন শেষ হয়েছে। আমরা চাই, তারা যেন খুব বেশিদিন এখানে না থাকে। আমাদের দেশে তাদের দ্বারা সংঘটিত কোনো হামলাও কাম্য নয়।

যদিও এখনই ইরাক থেকে সেনা সরাতে নারাজ ওয়াশিংটন। পেন্টাগনের দাবি, পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি জঙ্গিরা। পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট্রিক রাইডার বলেন, আমাদের সেনারা ইরাক সরকারের আমন্ত্রণেই সেখানে গিয়েছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে। আমরা আইএসকে বাগদাদ থেকে বিতাড়িত করেছি। বিশ্ববাসী চায় না, আবার তারা ফিরে আসুক।

বিশ্লেষকদের শঙ্কা, দুপক্ষের এমন বিপরীতমুখী অবস্থানের পর বাড়তে পারে মার্কিন সেনা ও ইরান সমর্থিত ইরাকের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা।

/এএম

Exit mobile version