Site icon Jamuna Television

নিজেকে ‘হত্যার কাহিনী’ সাজিয়ে পালিয়েছিলেন তিনি!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর মহিপুরের আলীপুর গ্রাম থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী মরিয়মকে থেকে পনের দিন ঢাকার মুগদা থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মরিয়ম নিজেই পরিকল্পিতভাবে “হত্যার পর লাশ গুম” করার কাহিনী সাজিয়ে নিজেই পালিয়েছিলো।

আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বরের ভোরে ঘটনার সময় প্রথমে মনে হয়েছিল মরিয়মকে হত্যা করে তার লাশ গুম করা হয়েছে। এরপর মরিয়মের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি হত্যা ও লাশ গুমের মামলা দায়ের করেন।

বরিশাল পুলিশের ক্রাইমসিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ করে পরবর্তিতে পরীক্ষা করে জানা যায় ঘরের মেজেতে পাওয়া মাংসের টুকরো একটি রাজহাসের অংশ। এরপর একদিন মরিয়মের মায়ের মোবাইল ফোনে ঢাকা থেকে একটি কল এলে তার সূত্র ধরে রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশের ইন্টেলিজেন্স টীম। অনুসন্ধানের পর গতকাল শুক্রবার মরিয়মকে ঢাকার মুগদা এলাকার রুনা ফ্যাশন থেকে কর্মরত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান মরিয়ম পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, তার খালাত ভাইয়ের সাথে পরিবারের পক্ষ থেকে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে মরিয়ম নিজে পরিকল্পিতভাবে হত্যা পর লাশ গুমের নাটক সাজায়।

মইনুল হাসান জানান, ঘটনার দিন ভোররাতে মরিয়মের পাশে তার মা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। তখন ঘরের বাইরে থেকে একটি রাজহাস জবাই করে দু’টুকরো মাংস এবং রক্ত ও পায়ের নুপুর ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে দেয় মরিয়ম।

এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকার সায়েদাবাদ আসেন। সেখান থেকে মুগদা এলাকার রুনা ফ্যাশনের গার্মেন্টসে কাজ শুরু করে। দুইদিন পর মরিয়ম একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার মাকে ফোন দেয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাটির রহস্য উদঘাটন করতে পারা পটুয়াখালী জেলা পুলিশের একটি বড় সাফল্য।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ মরিয়মকে আদালত সোপার্দ করা হয়েছে।

Exit mobile version